

কাতার বিশ্বকাপে মরক্কোর সফর রূপকথার মতো। বিশ্বকাপ শুরুর আগে হয়তো কল্পনাই করা যায়নি আফ্রিকার এই দেশ ইতিহাস তৈরি করবে, আশরফ হাকিমিরা সেমিফাইনাল খেলবেন। যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে 'অ্যাটলাস লায়ন্স'-রা তাতে বিশ্বকাপ নিজেদের করে নিলেও অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। পুরো আফ্রিকা এখন স্বপ্ন দেখছে মরক্কোকে নিয়ে। আজকের প্রতিবেদনে দেখে নেওয়া যাক আফ্রিকার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে মরক্কোর যত রেকর্ড -
১. ১৯৭০ বিশ্বকাপে প্রথম আফ্রিকার দেশ হিসেবে বিশ্বকাপে পয়েন্ট অর্জন করেছিল মরক্কো। গ্রুপ পর্বের ম্যাচে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা।
২. ১৯৮৬ বিশ্বকাপে প্রথম আফ্রিকার দেশ হিসেবে নক আউট পর্বের টিকিট পেয়েছিল 'অ্যাটলাস লায়ন্স'। গ্রুপ পর্বে প্রথম ম্যাচে পোল্যান্ডের বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র, দ্বিতীয় ম্যাচে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে গোলশূন্য ড্র এবং তৃতীয় ম্যাচে পর্তুগালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে নক আউট পর্বে পৌঁছে গিয়েছিল মরক্কো। শেষ ষোলোর ম্যাচে পশ্চিম জার্মানির কাছে ১-০ গোলে হেরে অভিযান শেষ হয় তাদের।
৩. ক্যামেরুন, সেনেগাল ও ঘানা যা করে দেখাতে পারেনি, চলতি কাতার বিশ্বকাপে তাই করে দেখালো মরক্কো। প্রথম আফ্রিকার দেশ হিসেবে ইতিহাস গড়ে সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে তারা। ১৯৯০ সালে ক্যামেরুন, ২০০২ সালে সেনেগাল এবং ২০১০ সালে ঘানা খেলেছিল কোয়ার্টার ফাইনাল। এর আগে আর কোনো আফ্রিকা অঞ্চলের দেশ সেমিফাইনাল পর্যন্ত পৌঁছাতে পারেনি। গতকাল পর্তুগালকে হারিয়ে ইতিহাস তৈরি করলেন হাকিম জিয়েচ, আশরফ হাকিমিরা।
বুধবার সেমিফাইনালের ম্যাচে মরক্কো মাঠে নামছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সের বিপক্ষে। ফরাসীদের হারিয়ে মরক্কো কি পারবে আরও এক ইতিহাস রচনা করতে? সে উত্তরের জন্য অপেক্ষা করতে হবে তিন'দিন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন