বছরের শুরুতেই শূন্যতার শোক সভা। সুভাষ ভৌমিকের মৃত্যুশোক কাটিয়ে ওঠার আগেই ফের নক্ষত্র পতন বাংলা তথা ভারতের ফুটবল জগতে। চিরঘুমে চলে গেলেন পিকে বন্দোপাধ্যায়ের 'ফিনিক্স পাখি'। করোনা আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন হাসপাতালে ভর্তি থাকার পর প্রয়াত হলেন ময়দানের শিল্পী সুরজিৎ সেনগুপ্ত। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিলো ৭০ বছর। সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে শোকস্তব্ধ ইস্টবেঙ্গল।
লাল-হলুদ শিবির তাঁদের কিংবদন্তীকে হারিয়ে শোকস্তব্ধ। তাঁর প্রতিকৃতিতে মাল্যদান এবং শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করে ইস্টবেঙ্গল। বৃহস্পতিবার ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের পতাকা অর্ধনমিত রাখা হয়। সুরজিৎ সেনগুপ্তর মৃত্যু সংবাদ আসার পরেই অনুশীলনরত ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হকি খেলোয়াড়রা নীরবতা পালন করেন। সেইসঙ্গে ইস্টবেঙ্গল ফুটবল স্কুলের শিক্ষার্থী এবং কোচেরাও নীরবতা পালন করেন।
প্রাক্তন ফুটবলার অ্যালভিটো ডি কুনহা সুরজিৎ সেনগুপ্তর প্রয়াণে বলেছেন, "সুরজিৎ দা, আমাদের সঙ্গে নেই। অনেক দুঃখের বিষয়। তিনি কলকাতা ফুটবল এবং ভারতীয় ফুটবলের এক লেজেন্ড। আমাদের ফুটবলারদের জন্য এই বছরটা ভালো শুরু হয়নি। যেন জলদি কেটে যায় এই বছর।"
শুধু দুই প্রধানেই নয়। মোহনবাগান, ইস্টবেঙ্গলের পাশাপাশি মহামেডানের হয়েও মাঠে নেমেছেন ভারতীয় ফুটবলের লিজেন্ড উইঙ্গার। ১৯৭২ সাল থেকে দু'বছর খেলেন মোহনবাগানের হয়ে। এরপর তাঁকে দলে টানে ইস্টবেঙ্গল। ছ' বছর লাল-হলুদদের হয়ে ময়দানে দাপট দেখান। ১৯৮০ সালে মহামেডানে আসেন। এরপর আবার ফিরে যান সবুজ-মেরুনদের শিবিরে। মোহনবাগানের হয়ে আরও তিন বছর খেলেন।
১৯৭৪ সাল থেকে ১৯৭৯ সাল পর্যন্ত জাতীয় দলের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন সুরজিৎ। করোনা আক্রান্ত হয়ে গত ২৩ শে জানুয়ারি বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। ২৯ শে জানুয়ারি থেকে রাখা হয় ভেন্টিলেশনে। ১৯ দিন ভেন্টিলেশনে থাকার পর অবশেষে জীবন যুদ্ধে হার মানলেন কিংবদন্তী ফুটবলার।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।