

চলে গেলেন প্রখ্যাত ফুটবলার চন্দন কুমার ব্যানার্জি। বুধবার রাত সাড়ে ৩টের সময় তাঁর ম্যাসিভ কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়I সেই ধাক্কা উনি সামলাতে পারেননি I মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর I
ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের কথা উঠলেই তিনি সবসময় বলতেন, "আমার ইস্টবেঙ্গল, ইস্টবেঙ্গলের আমি"। খেলা ছাড়াও ক্যালকাটা কাস্টমসে চাকরি করতেন। পরে সেখানকার কর্তাও হন।
১৯৬২ থেকে ১৯৬৫, পরপর ৪ বার কলকাতা লিগ জেতে মোহনবাগান। ময়দানে তখন সবুজ-মেরুনেরই দাপট। সেই পরিস্থিতিতে ১৯৬৬ সালে লাল-হলুদের অধিনায়ক হন চন্দন ব্যানার্জি। সদ্য চাকরি পেয়েছেন। ফলে অফিস দলের হয়েই খেলার কথা। কিন্তু ইস্টবেঙ্গলের অধিনায়ক হওয়ার স্বপ্নপূরণ করতে ইস্টবেঙ্গলেই খেললেন। সেবারই লিগ পায় ইস্টবেঙ্গল। শুধু লিগ নয় তাঁর হাত ধরে আইএফএ শিল্ডও ঘরে তোলে ইস্টবেঙ্গল।
চন্দন ব্যানার্জির অধিনায়কত্বেই ইস্টবেঙ্গলের হয়ে প্রথমবার খেলেন কিংবদন্তি মহম্মদ হাবিব। প্রথম ম্যাচে তিনি ভালো খেলতে পারছিলেন না। সেই সময় নিয়ম ছিল, কোনও ফুটবলারকে পরিবর্তন করতে হলে, প্রথমার্ধ শেষ হওয়ার আগেই করতে হবে। হাবিব ভালো খেলতে পারছেন না দেখে তাঁকে তুলে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন জ্যোতিষ গুহ। কিন্তু চন্দন জ্যোতিষ গুহকে বলেন, হাবিবকে তুলতে না। এরপরে বাকিটা সবাই জানেন। হাবিব ইস্টবেঙ্গলের থেকে সম্মান পেয়ে সেই কথা জানিয়েছিলেন।
প্রাক্তন অধিনায়কের মৃত্যুতে শোকের ছায়া শতবর্ষ প্রাচীন ক্লাবে। বৃহস্পতিবার ক্লাবে তাঁর দেহ আনা হয়। শ্রদ্ধা জানান ইস্টবেঙ্গল শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার, প্রাক্তন ফুটবলার অলোক মুখোপাধ্যায়, শ্যাম থাপা, সুমিত মুখোপাধ্যায়, বিকাশ পাজি, বিশ্বজিৎ ভট্টাচাৰ্য সহ অন্যান্যরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন