
আরসিবির ট্রফি জয়ের আনন্দে শামিল হতে গিয়ে প্রাণ হারিয়েছেন ১১ জন সমর্থক। যা নিয়ে রাজনৈতিক তরজা তুঙ্গে। এবার প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার মদন লালও তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার।
১৮ বছর অপেক্ষার পর পাঞ্জাবকে হারিয়ে আইপিএল ট্রফি জেতে বেঙ্গালুরু। জয়ের আনন্দ মুহূর্তের মধ্যেই দুঃখে পরিণত হল। চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে চরম বিশৃঙ্খলার জেরে প্রাণ গেল ১১ জনের। শুধু তাই নয়, স্টেডিয়ামের বাইরে যখন একের পর এক হতাহতদের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে, তখন ভেতরে উদযাপন চলছে। এই ঘটনায় ফ্র্যাঞ্চাইজি থেকে শুরু করে কর্ণাটক সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন অনেকে।
প্রাক্তন ক্রিকেটার মদন লাল বলেন, "মানুষ এটা ভুলবে না। বাইরে যখন মানুষ মারা যাচ্ছিল, তখন ভেতরে একটা আনন্দের আমেজ ছিল। এটা সত্যিই মর্মান্তিক এবং হতাশাজনক। যারা মারা গেল তাদের পরিবারের এবার কী হবে? মৃতদের পরিবারের উচিত এই মর্মান্তিক দুর্ঘটনার জন্য আরসিবি এবং রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে ১০০ কোটি টাকার মামলা করা।"
তিনি আরও বলেন, "এত দ্রুত উদযাপন করার কী ছিল? আপনারা শহরে আসতেন, তারপর একটি নির্দিষ্ট দিন ঠিক করতেন উদযাপন করার। সমস্ত সমর্থকদেরও তাহলে সুবিধা হতো। যদি সরকার অনুমতি না দিত তাহলে আরসিবি এই অনুষ্ঠান করতে পারতো না। আবার আরসিবিরও দায়িত্বশীল হওয়া উচিত ছিল"।
প্রসঙ্গত, বুধবার কর্ণাটকের বিধান সৌধ থেকে চিন্নাস্বামী স্টেডিয়াম পর্যন্ত ট্রফি নিয়ে শোভাযাত্রা করার আবেদন জানিয়েছিল আরসিবি। তবে যানজটের কারণে সেই শোভাযাত্রার অনুমতি দেয়নি কর্ণাটক পুলিশ। ফলে শুধুমাত্র চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের মধ্যেই উদযাপন করা হবে বলে স্থির হয়। কিন্তু তাতেও বিপদ এড়ানো গেল না। বিনামূল্যে কুপন সিস্টেমে সমর্থকদের প্রবেশের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। ভিড় এতই বেশি ছিল যে সমর্থকদের মধ্যে হুড়োহুড়ি বেধে যায়। ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যু হয়। আহত হন কমপক্ষে ৫০ জন।
উল্লেখ্য, মদন লাল ভারতের হয়ে ১৯৭৪ সালের জুন মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টেস্টে অভিষেক করেন। একদিনের ক্রিকেটে ওই বছরের জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধেই অভিষেক হয় মদন লালের। ১৯৮৩ বিশ্বকাপ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তিনি। এছাড়া ১৯৮৪ সালে এশিয়া কাপ চ্যাম্পিয়নও হন তিনি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন