

২০২২ ফিফা বিশ্বকাপে ইতিহাস সৃষ্টি করতে চলেছেন তিনজন মহিলা রেফারি। গতবারের বিশ্বকাপে এই ধরণের খবর শোনা গেলেও তা বাস্তবে পরিণত হয়নি। এবারের ৩৬ জন রেফারির মধ্যে তিন মহিলা রেফারিও রয়েছেন। যাঁরা ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন। ১৯৩০ সালের পর এই প্রথম বিশ্বকাপ যেখানে মহিলা রেফারি দায়িত্ব পেয়েছেন।
ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচ চলছে। একসাথে ৪০-৫০ হাজার দর্শক বসে আছেন স্টেডিয়ামে। মেসি, রোনাল্ডো ও নেইমার সহ বিশ্ব ফুটবলের তারকারা মাঠ কাঁপাচ্ছেন। আর সেই সব ম্যাচ পরিচালনা করছেন একজন দক্ষ মহিলা রেফারি। হ্যাঁ ঠিক এমনটাই ঘটতে চলেছে চলতি বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন স্ট্রেফ্রানি ফ্রাপ্পার্ট, ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা এবং রুয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা নামের তিন মহিলা।
স্ট্রেফ্রানি ফ্রাপ্পার্ট
৩৮ বছর বয়সী এই ফরাসি রেফারির বড় বড় ম্যাচের অভিজ্ঞতা আছে। ২০১৪ সালে তিনি ফ্রেঞ্চ সেকেন্ড ডিভিশনের ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন। এরপর ২০১৯ সালে পুরুষদের ফ্রেঞ্চ ফার্স্ট ডিভিশনের ম্যাচ, ইউরোপিয়ান সুপার কাপেও বেশ কয়েকটি ম্যাচ পরিচালনা করেন। এরপর ২০২০-তে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ এবং ২০২২ সালে ফ্রেঞ্চ কাপ ফাইনালে তাঁকে মাঠে দেখা গিয়েছিল।
ইয়োশিমি ইয়ামাশিতা
ইয়ামাশিতার বয়স ৩৬ বছর। জাপানের বিভিন্ন ডিভিশনে প্রচুর ম্যাচ পরিচালনা করেছেন তিনি। তাছাড়া তিনিই প্রথম মহিলা রেফারি যিনি এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্ব পান (২০১৯)। ৩৬ বছর বয়সেও তাঁর ফিটনেস দেখার মতো। এর আগে বেশ কিছু বছর তিনি ফিটনেস ট্রেনার ছিলেন। শোনা যায় তিনি নাকি কোনোদিন রেফারি হতে চাননি। জাপানের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যাচে সকলের অনুরোধে রেফারির ভূমিকা পালন করেছিলেন। তারপর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। আশা করা যাচ্ছে যথেষ্ট দক্ষতার সাথেই বিশ্বকাপের ম্যাচও পরিচালনা করবেন তিনি।
রুয়ান্ডার সালিমা মুকানসাঙ্গা
তিন মহিলা রেফারির মধ্যে সালিমা মুকানসাঙ্গাই কনিষ্ঠ। ফুটবল বিশ্বকাপে এই প্রথম রেফারির দায়িত্ব পেলেন। এই বছরেই আফ্রিকান কাপ অফ নেশনস-এ প্রথম মহিলা রেফারি হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি। ২০ বছর বয়সে রেফারির কোর্স করেন তিনি। ২০২৩ মহিলা বিশ্বকাপেও ম্যাচ পরিচালনা করতে চান বলেই জানিয়েছেন ৩৪ বছরের সালিমা মুকানসাঙ্গা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন