

ইতিহাস গড়ার হাতছানি মরক্কোর সামনে। আজ স্পেনকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নিতে পারলেই ইতিহাস গড়বে আফ্রিকার দেশটি। মরক্কো এখনও পর্যন্ত বিশ্বকাপের কোয়ার্টারে ফাইনালে একবারও জায়গা করে নিতে পারেনি। ১৯৮৬ সালে প্রথমবারের মতো শেষ ষোলোতে উঠেছিল 'অ্যাটলাসের সিংহ'-রা। চমক দেখিয়ে কাতার বিশ্বকাপে দ্বিতীয় বারের মতো নক আউট খেলবে মরক্কো।
১৯৮৬ সালে মরক্কো যখন শেষ ১৬-তে পৌঁছেছিল তখন বর্তমান স্কোয়াডের কোনও সদস্যের জন্ম হয়নি। সেবার পশ্চিম জার্মানির কাছে হেরে দ্বিতীয় রাউন্ডেই যাত্রা শেষ করেছিল তারা। এবার মরক্কোকেই 'ডার্ক হর্স' বলে দাবি করছে অনেক ফুটবল বোদ্ধারা। স্পেনের লড়াই যে সহজ হবে না তাও জানাচ্ছে ফুটবল জগতের একাংশ।
এই বিশ্বকাপ মরক্কোর জন্য একটি স্বপ্নের দৌড়। তারা গ্রুপ পর্বে থেকে সাত পয়েন্ট পেয়েছে। শক্তিশালী বেলজিয়ামকে হারিয়েছে তারা। পাশাপাশি হারিয়েছে কানাডাকে। গোলশূন্য ড্র করেছে ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে। অপরাজিত থেকেই শেষ ষোলোতে পা রেখেছেন হাকিম জিয়েচরা।
বিশ্বকাপের মঞ্চে স্পেন এবং মরক্কো একবারই মুখোমুখি হয়েছে। ২০১৮ রাশিয়া বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে দুই দল শেষ করে ২-২ ব্যবধানে ড্রয়ের মাধ্যমে। সেবার স্পেনই হারের মুখ থেকে বাঁচে। ৯১ তম মিনিটে স্পেনকে সমতা এনে দিয়েছিলেন আসপাস। এই মরক্কো দল আরও শক্তিশালী। আত্মবিশ্বাসে ভরপুর। যে কোনো অঘটন ঘটাতে প্রস্তুত। তাই ফিফা র্যাঙ্কিংয়ে ২২-এ থাকা 'অ্যাটলাসের সিংহ'-দের একদমই হালকা ভাবে নিতে চাইবেন না লুইস এনরিকেরা।
ইতিমধ্যে শেষ আটে পৌঁছে গিয়েছে নেদারল্যান্ডস, আর্জেন্টিনা, ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স, ইংল্যান্ড, ক্রোয়েশিয়া এবং ব্রাজিল। আজকেই নিশ্চিত হয়ে যাবে বাকি দুই দল। মরক্কো এবং স্পেনের মধ্যে থেকে এক দল পৌঁছাবে শেষ আটে। বাকি দলটি নিশ্চিত হবে সুইজারল্যান্ড বনাম পর্তুগাল ম্যাচে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন