

শতাব্দী প্রাচীন ক্লাব ইস্টবেঙ্গলের সাথে গাঁটছড়া বাঁধতে পারে বিশ্বের অন্যতম সেরা ক্লাব ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড। এমনটাই বেশকিছুদিন ধরে শোনা যাচ্ছিল। এবার সেই বিষয়কে সিলমোহর দিলেন সৌরভ গাঙ্গুলি। তিনি জানান ম্যাঞ্চেস্টার ও লাল-হলুদের মধ্যে কথা হচ্ছে, এখনও চূড়ান্ত কিছু হয়নি।
ভারতীয় ফুটবলের দুই ঐতিহ্যবাহী ক্লাব মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গল বারবার বিশ্বের দরবারের নিজেদের নাম উজ্জ্বল করেছে। মোহনবাগানের সাথে এটিকের মার্জ হলেও ইস্টবেঙ্গল এখনও কোনো বিনিয়োগকারী সংস্থার সাথে গাঁটছড়া বাঁধেনি। সেই পরিস্থিতির উন্নতির জন্য মুখ্য ভূমিকা নিতে দেখা গেল ‘প্রিন্স অফ ক্যালকাটাকে’। সংবাদমাধ্যমে সৌরভ বলেন, ম্যাঞ্চেস্টারের সাথে কথা চলছে, আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে সবটা পরিষ্কার হয়ে যাবে। রেড ডেভিলস ছাড়াও অন্যান্য ক্লাব বা সংস্থা সাথে কথা চালাচ্ছে ইস্টবেঙ্গল।
তবে শোনা যাচ্ছে রেড ডেভিলসরা কোনো ইনভেস্টর নয় ইস্টবেঙ্গলে মালিকের ভূমিকায় অবতীর্ন হবে। ইস্টবেঙ্গলের সার্বিক উন্নয়নের জন্য এমন একটি ক্লাব বা সংস্থা দরকার বলেই ময়দানের অনেকে মনে করছেন। সম্প্রতি, ইস্টবেঙ্গলের আগের ইনভেস্টর শ্রী সিমেন্ট দীর্ঘ টালমাটালের পর ক্লাবের স্পোর্টিং রাইটস ফিরিয়ে দেয়। তারপর থেকেই সমস্যায় পড়ে লাল-হলুদ। এর আগে শোনা যায় বাংলাদেশের সংস্থা বসুন্ধরার সাথে ইস্টবেঙ্গল কথাবার্তা হয়। কিন্তু তা ব্যর্থ হয়।
উল্লেখ্য, ইউরোপের ক্লাবটির সাথে গাঁটছড়া নতুন নয়। এর আগে আইএসএলের ক্লাব মুম্বাই সিটি এফসির সাথে সংযোগ স্থাপন করে ইউরোপীয় জায়েন্ট ম্যাঞ্চেস্টার সিটি। ইস্টবেঙ্গলের সাথে যদি রেড ডেভিলসদের চুক্তি সম্পন্ন হয় তাহলে শুধু লাল-হলুদ নয় সমগ্র ভারতের ফুটবল মানচিত্রে ব্যপক পরিবর্তন ঘটবে বলে মনে করছে ক্রীড়াবিদরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন