

কার্লেস কুয়াদ্রাত যেন ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের জন্য হ্যামলিনের বাঁশিওয়ালা। শেষ কয়েক বছরে ৪ জন কোচ যা পারেননি সেটাই করলেন কুয়াদ্রাত। ইস্টবেঙ্গলকে ডার্বিতে প্রতীক্ষিত জয় এনে দিলেন।
যদিও ডার্বি জয়ের পরেও আবেগে ভেসে যাচ্ছেন না তিনি। ম্যাচের শেষে কুয়াদ্রাত জানালেন, সমর্থকদের জন্য খুব ভালো লাগছে। গত দু’বছর খুব একটা সাফল্য পায়নি ক্লাব। তা সত্ত্বেও এই সমর্থন উৎসাহ দিয়েছে খেলোয়াড়দের।
তিনি আরও বলেন, মোহনবাগানের সামনে বড় টুর্নামেন্ট রয়েছে, সে কারণে হয়তো অনেক বেশি পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে চেয়েছিল ওরা। আমি শুধু ফুটবলারদের বলেছিলাম কাউন্টার অ্যাটাক আর সেটপিসগুলো কাজে লাগাতে। দলটাকে নিয়ে তো সবে কাজ শুরু করেছি। একটা সেট টিম তৈরির চেষ্টা করছি। আমার বিশ্বাস এই দল আরও অনেক উন্নতি করবে।
ডার্বি জয় সম্পর্কে কুয়াদ্রাত বলেন, “ডার্বি জিতে আমরা অবশ্যই খুশি। তবে এখনও গোটা মরসুম পড়ে আছে। অনেক দূর যেতে হবে, যা বলে বোঝানো সম্ভব নয়। এখানে আসার পর থেকেই সমর্থকদের উৎসাহ চোখে পড়ছে। আর আজকের মত পরিবেশে খেলা তো যে কোনো ফুটবলারের স্বপ্ন।"
গতকালের ডার্বির নায়ক নন্দকুমার বেশ লাজুক ভাবেই জানালেন, সত্যিই ভালো লাগছে। এই পরিবেশে খেলা যে কোনো ফুটবলারের স্বপ্ন।
ডার্বিতে হার প্রসঙ্গে মোহনবাগান কোচ জুয়ান ফেরান্দ বলেন, সমর্থকদের জন্য খারাপ লাগছে। তবে এই হারে হতাশ নই। সবে মরশুম শুরু হয়েছে। এএফসি কাপ অন্য একটা টুর্নামেন্ট। আমাদের জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ম্যাচের প্রভাব ওখানে পড়বে না। ওখানে অন্য ফর্মেশনে খেলাব। এই হারে ভুলত্রুটি শোধরাতে পারব। একটাই ভাল, গুরুত্বপূর্ণ কোনও চোট লাগেনি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন