মাসে আয় ১৭ লক্ষ টাকা, রয়েছে ফার্মহাউস! প্রকাশ্যে নিহত টেনিস প্লেয়ার রাধিকার বাবার অগাধ সম্পত্তি

People's Reporter: জানা গিয়েছে .৩২ বোরের রিভলভার ব্যবহার করেন দীপক। জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই রাধিকার জীবনযাপনে বিরক্ত হতে ওঠেন তিনি। বিশেষ করে আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়টি।
রাধিকা যাদব এবং দীপক যাদব
রাধিকা যাদব এবং দীপক যাদবছবি - সংগৃহীত
Published on

নিজের বাবার হাতে খুন হয়েছেন ২৫ বছ বয়সী রাজ্যস্তরের টেনিস প্লেয়ার রাধিকা যাদব (Radhika Yadav)। যা নিয়ে দেশজুড়ে চর্চা শুরু হয়েছে। অভিযুক্ত দীপক যাদবের কথায়, মেয়েকে নিয়ে গ্রামের লোকের কটূক্তি সহ্য করতে না পেরে তিনি এই নৃশংস হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন। এরপরেই চর্চায় এসেছে তাঁর সম্পত্তি। দীপকের এক পরিচিত সূত্রে খবর, মাসে অন্তত ১৭ লক্ষ টাকা আয় তাঁর। রয়েছে একটি বিলাসবহুল ফার্মহাউসও।

বৃহস্পতিবার সকাল ১০.৩০টা নাগাদ রাধিকা যাদবকে গুলি করেন তাঁর বাবা দীপক যাদব। সেইসময় রান্নাঘরে খাবার বানাচ্ছিলেন রাধিকা। পিছন থেকে তিনবার তাঁকে গুলি করা হয়। রাধিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, দীপকের ভাই কুলদীপ, যিনি একই বাড়ির নিচতলায় থাকেন, গুলির শব্দ শুনে উপরে ছুটে আসেন এবং রাধিকাকে রক্তাক্ত অবস্থায় দেখতে পান। তিনিই প্রথমে হাসপাতালে নিয়ে যান এবং পরে পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে সেক্টর ৫৬ থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।

ইতিমধ্যেই দীপককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশি জেরার নিহত টেনিস প্লেয়ারের বাবা জানান, “গ্রামের সকলে আমাকে খোঁচা দিত। সবাই বলত, আমি মেয়ের পয়সায় বসে বসে খাই। এই খোঁচা শুনতে শুনতে বিরক্ত লাগত। আমার মেয়ের চরিত্র নিয়েও প্রশ্ন তুলত। আমি অনেকবার মেয়েকে বলেছিলাম অ্যাকাডেমিটা বন্ধ করে দিতে, শোনেনি। বারবার কটাক্ষ শুনতে শুনতে আমার সম্মানহানি হচ্ছিল”।

জানা গিয়েছে .৩২ বোরের রিভলভার ব্যবহার করেন দীপক। জানা গেছে, গত কয়েক মাস ধরেই রাধিকার জীবনযাপনে বিরক্ত হতে ওঠেন তিনি। বিশেষ করে আর্থিক স্বাধীনতার বিষয়টি। টেনিস অ্যাকাডেমি চালানোর পাশাপাশি ইনস্টাগ্রাম রিলস এবং মিউজিক ভিডিও থেকেও উপার্জন করতেন রাধিকা। সেটা মেনে নিতে না পেরে রাধিকাকে খুন করেন দীপক।

রাধিকার হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্য আসার পরেই এক সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে মুখ খুলেছেন দীপকের অতি পরিচিত। তিনি জানিয়েছেন, “দীপকের প্রচুর সম্পত্তি। সেগুলি ভাড়া দিয়েই মাসে ১৫ থেকে ১৭ লক্ষ টাকা উপার্জন করেন তিনি। বিলাসবহুল ফার্মহাউসও রয়েছে। গ্রামের সকলেই জানে দীপক অত্যন্ত ধনী"।

তাঁর কথায়, "যখন এত টাকা থাকে, তখন গ্রামে কে বলবে যে সে তার মেয়ের টাকায় জীবনযাপন করছে? দীপক একজন অত্যন্ত পরিশীলিত মানুষ। সে তার মেয়েকে টেনিস শেখানোর জন্য পড়াশোনাও ছেড়ে দিয়েছিল। মেয়ের জন্য ২ লক্ষ টাকার টেনিস র‍্যাকেট কিনেছিল। মেয়েকে খুব ভালোবাসেন। খুনের পিছনে ব্যক্তিগত কারণ থাকতে পারে, টেনিস বা টেনিস একাডেমি নয়"।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in