

উয়েফা কনফারেন্স লিগের ফাইনালে স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল বেতিসকে ৪-১ গোলে বিধ্বস্ত করে ইতিহাস গড়ল ইংলিশ ক্লাব চেলসি। এই জয়ের ফলে তারা ইউরোপের প্রথম ক্লাব হিসেবে উয়েফার চারটি বড় ক্লাব প্রতিযোগিতার শিরোপা জয়ের বিরল কৃতিত্ব অর্জন করল। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ, ইউরোপা লিগ, কাপ উইনার্স কাপ ও কনফারেন্স লিগ - সবকটিই জিতেছে চেলসি।
বুধবার রাতে পোল্যান্ডের রোকলায় অনুষ্ঠিত ফাইনালে প্রথমার্ধে পিছিয়ে পড়েও দ্বিতীয়ার্ধে দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তন করে ব্লুজরা। বেতিসের হয়ে ম্যাচের ১০ মিনিটে মরক্কোর ফরোয়ার্ড আবদে এজ্জালজুলি গোল করে দলকে এগিয়ে দেন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে এনজো ফার্নান্দেজ, নিকোলাস জ্যাকসন, জ্যাডন সানচো ও মোয়েসেস কাইসেদোর দুর্দান্ত চার গোল চেলসিকে শিরোপা জিততে সাহায্য করে।
খেলার প্রথমার্ধে বেতিস অনেক বেশি সংঘবদ্ধ ছিল। অভিজ্ঞ কোচ ম্যানুয়েল পেলিগ্রিনির ছক অনুযায়ী তারা আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে চেলসির ওপর চাপ তৈরি করে। ইসকোর থ্রু পাস থেকে এজ্জালজুলির গোল আসে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত চেলসি ম্যাচে ফিরে আসে দুর্দান্তভাবে।
৬৫ মিনিটে সমতা এনজো ফার্নান্দেজ। এরপর মাত্র ৫ মিনিটের মধ্যে পামারের আরেকটি চমৎকার ক্রস থেকে হেডে চেলসিকে এগিয়ে দেন জ্যাকসন। এরপর সানচো ও কাইসেদো আরও দুটি গোল করে ব্যবধান বাড়িয়ে দেন।
চেলসির এই জয় শুধুমাত্র একটি ট্রফি জয়ের গল্প নয়, এটি ইউরোপীয় ফুটবলের ইতিহাসে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা। কনফারেন্স লিগ ২০২১ সালে চালু হলেও চেলসির মতো বড় ক্লাব এই প্রতিযোগিতা জিতে তা নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেল। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে তারা ১৩ ম্যাচে ৪২ গোল করেছে। এই শিরোপা জয় ২০২৪-২৫ মরসুমের হতাশাজনক প্রিমিয়ার লিগ অভিযানের পর চেলসির জন্য এক দারুণ প্রাপ্তি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন