

প্রথমে ডুরান্ড কাপে ব্যর্থতা। তারপর আইএসএলে পরপর ৩ ম্যাচে হার। ফলস্বরূপ চাকরি খোয়াতে হল ইস্টবেঙ্গল কোচ কার্লস কুয়াদ্রাতকে। যদিও কুয়াদ্রাত নিজেই পদত্যাগ করেছেন বলে জানা যাচ্ছে। ইস্টবেঙ্গলের অন্তর্বর্তী কোচ হলেন বিনো জর্জ।
আপাতত ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব সামলাবেন বিনো জর্জ। ডার্বির আগেই সম্ভবত নতুন কোচ পাবে ইস্টবেঙ্গল। ইস্টবেঙ্গলকে গতবার সুপার কাপ চ্যাম্পিয়ন করেন কুয়াদ্রাত। যা শতবর্ষ প্রাচীন লাল হলুদ ক্লাবের ১২ বছর পরে সর্বভারতীয় ট্রফি জয়। তবে এবারে ভালো দল করেও সাফল্য আসছিল না। ফলে চাপ বাড়ছিল তাঁর উপর।
শুক্রবার এফসি গোয়া ম্যাচে ইস্টবেঙ্গলের হারের পরে গো ব্যাক স্লোগানও শুনতে হয় কুয়াদ্রাতকে। ম্যাচ শেষে সমর্থকরা জানিয়েছিলেন, 'পর পর টিম হারছে। কোচের ভূমিকায় আমরা সন্তুষ্ট নই। যে প্লেয়ারকে আগে নামানো দরকার তাকে ম্যাচের শেষে নামাচ্ছেন। ক্লাবের সম্মান বাঁচাতে হলে অবিলম্বে এই কোচকে সরাতে হবে।'
ইমামি ইস্টবেঙ্গল গ্রুপ থেকে জানানো হয়, 'ইস্ট বেঙ্গলকে সুপার কাপ জিতিয়ে এএফসি খেলানোর জন্য কুয়াদ্রাতকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। ওঁর ভবিষ্যতের জন্য সাফল্য কামনা করছি।'
এই মুহূর্তে আইএসএলের লিগ টেবিলে ইস্টবেঙ্গল ১২ নম্বরে রয়েছে। নতুন কোচের কাছে চ্যালেঞ্জ হবে দলকে ঘুরে দাঁড় করানো। যদিও কুয়াদ্রাত এর আগে বেঙ্গালুরু এফসিকে আইএসএল চ্যাম্পিয়ন করেন। এছাড়া ইস্টবেঙ্গলের আর এক স্টিফেন কনস্টানটাইন, তিনিও সফল হননি। অথচ ভারতের জাতীয় দলে বেশ সফল হয়েছিলেন তিনি। ফলে প্রশ্ন উঠছে বারবার কোচ বদল করে কি সাফল্য আসবে? নাকি ক্লাবের পরিকাঠামোয় কোনও খামতি থেকে যাচ্ছে?
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
