হকি বিশ্বকাপেও রাজনীতির ছোঁয়া। বীরসা মুন্ডা হকি স্টেডিয়াম নিয়ে ওড়িশার মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়ককে কটাক্ষ করলেন বিজেপি সাংসদ শঙ্কর ওরাম।
১৩ জানুয়ারি থেকে শুরু হচ্ছে পুরুষদের হকি বিশ্বকাপ ২০২৩। ওড়িশার কলিঙ্গ ও বীরসা মুন্ডা হকি স্টেডিয়ামে। বৃহস্পতিবার বীরসা মুন্ডা স্টেডিয়ামটি উদ্বোধন করেন নবীন পট্টনায়ক। এই স্টেডিয়ামটি বিশ্বকাপের জন্যই তৈরি করা হয়েছে। ওড়িশা সরকারের তরফ থেকে দাবি করা হয় এটিই বিশ্বের সর্ববৃহৎ হকি স্টেডিয়াম। এই দাবি মানতে নারাজ সুন্দরগড় জেলার বিরামিত্রপুরের বিজেপি বিধায়ক শঙ্কর ওরাম।
তিনি বলেন, বীরসা মুন্ডা স্টেডিয়াম বিশ্বের চতুর্থ বৃহৎ হকি স্টেডিয়াম। সর্ববৃহৎ স্টেডিয়াম অবস্থিত পাকিস্তানের লাহোরে। ন্যাশনাল হকি স্টেডিয়াম। যার দর্শক আসন সংখ্যা ৪৫ হাজার। দ্বিতীয় স্থানে আছে চন্ডীগড় হকি স্টেডিয়াম (৩০ হাজার আসন)। তৃতীয় স্থানে রয়েছে আমেরিকার লস অ্যাঞ্জালসের ওয়েইনগার্ট স্টেডিয়াম (প্রায় সাড়ে ২৩ হাজার দর্শক আসন)।
ওড়িশার ক্রীড়ামন্ত্রী টিকে বেহরা অবশ্য বলেন, 'আমরা বলিনি যে বিশ্বের সবথেকে বড় স্টেডিয়াম বীরসা মুন্ডা স্টেডিয়াম। ইন্টারন্যাশনাল হকি ফেডারেশনের পক্ষ থেকে একটি শংসাপত্র দিয়ে বলা হয়েছে এই স্টেডিয়ামের সিটিং ক্যাপাসিটি সব থেকে বেশি'।
উল্লেখ্য, এর আগে ওড়িশার ক্রীড়া সচিব আর বৈনীল কৃষ্ণা বলেছিলেন, বীরসা মুন্ডা হকি স্টেডিয়ামটি বৃহত্তম কারণ ২০ হাজার দর্শক একসাথে বসে খেলা উপভোগ করতে পারবেন। যেটা ভারতের কোথাও নেই। কারণ এখানে দাঁড়িয়ে খেলা দেখারও ব্যবস্থা আছে।
১২০ কোটি টাকা খরচের বিনিময়ে তৈরি করা হয় বীরসা মুন্ডা আন্তর্জাতিক স্টেডিয়াম। ওড়িশার রৌরকেল্লায় অবস্থিত স্টেডিয়ামটি। বিশ্বকাপকে লক্ষ্য করেই স্টেডিয়ামটি নির্মাণ করা হয়েছে। ওড়িশা সরকার ১৫ একর জমি দিয়েছিল স্টেডিয়ামের জন্য।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।