

এই নিয়ে সাতবার। এআইএফএফ-এর বর্ষসেরা মেনস ফুটবলার নির্বাচিত হলেন ভারতের জাতীয় দলের অধিনায়ক সুনীল ছেত্রী। অন্যদিকে প্রথমবার বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার নির্বাচিত হলেন মণীষা কল্যাণ। ছেত্রী এবং কল্যাণকে তাঁদের নিজ নিজ জাতীয় দলের কোচ ইগর স্টিম্যাচ এবং টমাস ডেনারবি বিজয়ী হিসাবে মনোনীত করেন।
সক্রিয় আন্তর্জাতিক ফুটবলারদের মধ্যে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো এবং লিওনেল মেসির পর তৃতীয় সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক গোলস্কোরার সুনীল ছেত্রী গত মরশুমে দলের হয়ে দুর্দান্ত প্রদর্শন করেছেন। সাফ চ্যাম্পিয়নশীপে পাঁচ গোল করে হয়েছেন সর্বোচ্চ গোলস্কোরার। জিতেছেন ম্যান অফ দ্য টুর্নামেন্টের খেতাব। এছাড়াও, কলকাতায় এএফসি এশিয়ান কাপ বাছাইপর্বের ৩য় রাউন্ডের ৩টি ম্যাচে ৪ গোল করে সামনে থেকে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি।
২০০৭ সালে প্রথমবার এআইএফএফ-এর বর্ষসেরা ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন সুনীল ছেত্রী। এরপর যথাক্রমে ২০১১, ২০১৩, ২০১৪, ২০১৭, ২০১৮-১৯ মরশুমে এই পুরস্কার জেতার পর ২০২১-২২ মরশুমেও সেরার তকমা পেলেন।
২০২০-২১ মরশুমে বর্ষসেরা উদীয়মান ওম্যানস ফুটবলার নির্বাচিত হয়েছিলেন মণীষা। এবার মহিলাদের মধ্যে বর্ষসেরা ফুটবলার পুরস্কার জিতলেন। জাতীয় দল এবং তার ক্লাবের হয়ে কিছু অসামান্য পারফরম্যান্স দেখিয়েছেন মণীষা। গোল করার পাশাপাশি গোল করাতেও বারবার ভূমিকা নিয়েছেন। তাঁর ড্রিবলিং প্রশংসিত হয়েছে দেশের ফুটবল মহলে। ভবিষ্যতে তিনি ভারতকে অনেকদূর এগিয়ে নিয়ে যাবেন বলে আশাবাদী কোচ ডেনারবি।
AIFF পুরস্কার (২০২১-২২):
বর্ষসেরা পুরুষ ফুটবলার: সুনীল ছেত্রী
বর্ষসেরা মহিলা ফুটবলার: মনীষা কল্যাণ
বর্ষসেরা পুরুষ উদীয়মান ফুটবলার: বিক্রম প্রতাপ সিং
বর্ষসেরা মহিলা উদীয়মান ফুটবলার: মার্টিনা থকচম
বর্ষসেরা রেফারি: ক্রিস্টাল জন
বর্ষসেরা সহকারী রেফারি: উজ্জ্বল হালদার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন