FIFA World Cup 22: চল্লিশ বছর পর বিশ্বকাপে মুখোমুখি ফ্রান্স-ইংল্যান্ড, পরিসংখ্যানে এগিয়ে কোন দেশ?

বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচেই হারতে হয়েছিল ফ্রান্সকে। অন্যদিকে ৫টি উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপের একটিতেও জেতেনি ইংল্যান্ড। সবমিলিয়ে ৩১টি ম্যাচের মধ্যে ১৭টি জেতে থ্রি-লায়ন্সরা। ৯টি জেতে ফ্রান্স এবং ৫টি ম্যাচ ড্র হয়।
হ্যারি কেন ও এমবাপ্পে
হ্যারি কেন ও এমবাপ্পেগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

৪০ বছর পর ফুটবল বিশ্বকাপে মুখোমুখি হচ্ছে ফ্রান্স-ইংল্যান্ড। এমবাপ্পে নাকি সাকা? জিরু নাকি হ্যারি কেন? কে গোল করে সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করবে তা ভারতীয় সময় রবিবার রাতেই জানা যাবে। তার আগে পরিসংখ্যানের দিকে নজর রাখা যাক।

১৯২৩ সালে আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলির মাধ্যমে প্রথম মুখোমুখি হয় দুই দল। ৪-১ গোলে হারতে হয় ফ্রান্সকে। এরপর ১৯২৪ (৩-১), ১৯২৫ (৩-২), ১৯২৭ (৬-০), ১৯২৮ (৫-১), ১৯২৯ (৪-১) সালে সবকটি ম্যাচই জেতে থ্রি-লায়ন্সরা। ১৯৩১ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম জয় পায় ফ্রান্স। খেলার ফলাফল ছিল ৫-২। ১৯৩৩ থেকে ১৯৪৯ সালের মধ্যে চারটি আন্তর্জাতিক ফ্রান্ডলি ম্যাচ খেলে দুই দল। চারটি ম্যাচই জেতে ইংল্যান্ড।

১৯৫১ সালে ২-২ ব্যবধানে একটি ম্যাচ ড্র করে দুই দেশ। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে নিজেদের দ্বিতীয় জয় পায় ফরাসিরা। ১৯৫৭ সালে ফের জয় পায় ইংল্যান্ড। ১৯৬২ সালে উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপের মাধ্যমে প্রথম কোনো বড় টুর্নামেন্টে মুখোমুখি হয় দুই দেশ। সেই ম্যাচ অবশ্য ১-১ গোলে শেষ হয়। ১৯৬৩ সালে উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপেই ইংল্যান্ডকে ৫-২ গোলে হারায় ফ্রান্স।

১৯৬৬-র বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্যায়ে ফরাসিদের ২-০ গোলে হারায় ইংল্যান্ড। ১৯৬৯ সালে ফের আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে দুই দেশ। তাতে ফ্রান্সকে ৫-০ ব্যবধানে হারতে হয়। ১৯৮২-র ফুটবল বিশ্বকাপে ফের দুই দেশ একে অন্যের বিপক্ষে নামে। ওই বিশ্বকাপেও ফ্রান্সকে ৩-১ গোলে পরাস্ত হতে হয়। ১৯৮৪ সালে সেই হারের মধুর প্রতিশোধ নেয় ফরাসিরা। ফলাফল ছিল ২-০। ১৯৯২ সালে আরও একটি আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ জেতে থ্রি লায়ন্সরা। ওই বছরই উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে দুই দেশের ম্যাচ গোলশূন্য শেষ হয়। ১৯৯৭ সালে ফ্রান্সেরই একটি টুর্নামেন্টে ১-০ গোলে ফ্রান্সকে হাআরায় ইংল্যান্ড।

১৯৯৯ থেকে চিত্রটার পরিবর্তন হয়েছে। বিগত ২৩ বছরে পাল্লা ভারী ফরাসিদের। ১৯৯৯ ও ২০০০ সালে দুটি আন্তর্জাতিক ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলে দুই দেশ। প্রথম ম্যাচটি জেতে ফ্রান্স (২-০)। দ্বিতীয়টি ড্র হয় (১-১)। ২০০৪ সালে ফ্রান্স উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ফের হারায় ইংল্যান্ডকে (২-১)। ২০০৮ ও ২০১০ সালে দুটি আন্তর্জাতিক ম্যাচের মধ্যে দুটিতেই জয় পায় ফ্রান্স। ২০১২-র উয়েফা ইউরোপিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপে ১-১ ব্যবধানে শেষ হয় দুই দেশের ম্যাচ। ২০১৫ সালে ফ্রেন্ডলি ম্যাচে ফের জেতে ইংল্যান্ড (২-০)। ২০১৭ শেষ ম্যাচে অবশ্য ৩-২ ব্যবধানে জয় পায় ফ্রান্স।

তবে বিশ্বকাপের দুটি ম্যাচেই হারতে হয়েছিল ফ্রান্সকে। অন্যদিকে পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়নশিপের একটিতেও জিততে পারেনি ইংল্যান্ড। সবমিলিয়ে ১৭টি ম্যাচ জেতে থ্রি-লায়ন্সরা। ৯টি জেতে ফ্রান্স এবং ৫টি ম্যাচ ড্র হয়।

হ্যারি কেন ও এমবাপ্পে
FIFA World Cup 22: ব্রাজিলের নাচের উদযাপন নিয়ে সমালোচনা! জবাব দিলেন কোচ তিতে

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in