আজ ২০ জুন, ‘বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবস বা বিশ্ব শরণার্থী দিবস’ হিসেবে পালিত হয়ে থাকে দিনটি। শরণার্থী বা উদ্বাস্তুদের অধিকার, তাঁদের প্রয়োজনীয় চাহিদা, তাঁদের উপর নিপীড়ন, অত্যাচার ও দুর্দশা সম্পর্কে আলোকপাত করা হয়। এই দিনটি সারা বিশ্বের সমস্ত শরণার্থীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গিত হয়।
রাষ্ট্রসংঘ (UN), ২০০১ সাল থেকে এই দিনটি উদযাপন করে আসছে। বর্তমানে, বিশ্বের ১০০টিরও বেশি দেশ রয়েছে যারা উদ্বাস্তুদের উদ্দেশ্যে এই দিনটিকে স্মরণ করে।
প্রসঙ্গত, ২০০০ সালের ৪ই ডিসেম্বর, রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ অধিবেশনে ৫৫/৭৬ ভোটে অনুমোদিত হয় যে, ২০০১ সালে থেকে জুন মাসের ২০ তারিখ আন্তর্জাতিক উদ্বাস্তু দিবস হিসেবে পালন করা হবে। ওই অনুষ্ঠানটি ১৯৫১ সালে ঘটে যাওয়া ‘শরণার্থী কনভেনশন’ -এর ৫০তম বর্ষপূর্তিকে মনে রেখে অনুষ্ঠিত হয়। মূলত শরণার্থীদের সুরক্ষা নিয়ে আলোচনা হয়েছিল।
শরণার্থী বা উদ্বাস্তু শব্দটিতে যখন একজন ব্যক্তিকে সংজ্ঞায়িত করা হয়, তার অর্থ এই যে, তিনি যুদ্ধ, বিচার এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তাঁর স্বদেশ ত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন। উল্লেখ্য, ১৯৩৯-১৯৪৫ বিশ্বযুদ্ধের সময়ে সারা বিশ্বে উদ্বাস্তুদের সংখ্যা ক্রমে বেড়েই গিয়েছিল। রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক উত্তেজনায় প্রচুর মানুষ ঘরছাড়াও হয়েছিলেন সেই সময়। এই বিশেষ দিনটি উদযাপিত হয়, প্রত্যেক উদ্বাস্তু সম্প্রদায়ের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। বিশ্ব উদ্বাস্তু সপ্তাহ হিসেবেও পালিত হয় এই সপ্তাহটি। ফি বছরই আজকের বিশেষ দিনটিতে জাতিসংঘের তরফে, একটি বিশেষ থিম নির্বাচন করা হয়। এই বছরও একটি বিশেষ থিম রয়েছে বিশ্ব উদ্বাস্তু দিবসে। সেই থিমটি হল - ''নিরাপত্তা চাওয়ার অধিকার''।
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পূর্ববর্তী ও পরবর্তী সময়ে আফ্রিকা মহাদেশে উদ্বাস্তুদের সংখ্যা ছিল অনেক বেশি। আবার হালে ঘটে যাওয়া, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পরও উদ্বাস্তুদের যে ছবি বিশ্বের সামনে প্রকাশ্যে এসেছিল তা রীতিমতো আশঙ্কাজনক।
শরণার্থী বিষয়ক হাইকমিশনের তথ্য অনুযায়ী, ২০২১ সালে সারা বিশ্বে উদ্বাস্তুর সংখ্যা ছিল ৮৯.৩ মিলিয়ন, যা ২০২২ সালে বেড়ে ১০০ মিলিয়ন ছাড়িয়ে গিয়েছে প্রায়। রাশিয়ার আক্রমণের পর হাজার হাজার ইউক্রেনীয় তাঁদের বাড়িঘর ছেড়ে প্রতিবেশী দেশগুলিতে আশ্রয় নিয়েছে। এবার তাঁদের নিরাপত্তার দাবিতেই এইবছর রাষ্ট্রসংঘে পালিত হবে ‘বিশ্ব শরণার্থী দিবস’।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।