প্রতি মাসে ঋতুচক্র চলাকালীন এক দিন করে ছুটি পাবেন মহিলা কর্মীরা। রাজ্যের মহিলা কর্মীদের জন্য বিশেষ ছুটির ঘোষণা করল কর্ণাটক সরকার। বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রিসভা ঘোষণা করেছে, সমস্ত সরকারি অফিস, পোশাক শিল্প, বহুজাতিক কোম্পানি, আইটি ফার্ম এবং রাজ্য জুড়ে অন্যান্য সমস্ত বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত মহিলা কর্মীরা বেতনসহ ঋতুকালীন ছুটি পাবেন।
বৃহস্পতিবার রাজ্যের মন্ত্রিসভার বৈঠক শেষে কর্ণাটকের আইনমন্ত্রী এইচ কে পাটিল সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, এই সিদ্ধান্ত মহিলাদের শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা, কর্মক্ষেত্রে সমতা এবং সহায়ক পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, “এই নীতি অন্যান্য কিছু রাজ্যে ইতিমধ্যেই সফলভাবে কার্যকর হয়েছে। কর্ণাটকেও আমরা সেটি অনুসরণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এতে কর্মরত মহিলারা সরাসরি উপকৃত হবেন।”
সরকারি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, রাজ্যের সরকারি দপ্তর, তথ্যপ্রযুক্তি (আইটি) সংস্থা, বহুজাতিক কোম্পানি, পোশাক শিল্প এবং অন্যান্য বেসরকারি ক্ষেত্রের মহিলা কর্মীরা মাসে একদিন এই ছুটি নিতে পারবেন। সরকারের মতে, এই পদক্ষেপ মহিলাদের কর্মক্ষেত্রে শারীরিক স্বস্তি ও মানসিক আরাম নিশ্চিত করবে এবং ঋতুকালীন স্বাস্থ্য বিষয়ে সচেতনতা বাড়াবে।
নারী অধিকার কর্মী বৃন্দা আডিগে এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, “রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসনীয়। এটি প্রমাণ করে যে, নারীর স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া ও তাঁদের জন্য সহায়ক কর্মপরিবেশ তৈরি করা টেকসই উন্নয়নের একটি অপরিহার্য অংশ।” তবে তিনি আরও বলেন, “অসংগঠিত খাতে কাজ করা মহিলাদের কাছে এই সুবিধা পৌঁছে দেওয়া এখনো একটি বড় চ্যালেঞ্জ। কিন্তু এই নীতিই ভবিষ্যতে বৃহত্তর স্বাস্থ্য-সচেতনতা ও অন্তর্ভুক্তিমূলক বৃদ্ধি আনতে সাহায্য করবে।”
এই সিদ্ধান্তের ফলে কর্ণাটক এখন সেই রাজ্যগুলির তালিকায় যুক্ত হল, যেখানে কর্মরত মহিলাদের জন্য ঋতুকালীন ছুটি চালু হয়েছে। এর আগে বিহার, ওড়িশা, কেরালা এবং সিকিম রাজ্যে কার্যকর হয়েছে ঋতুকালীন ছুটি।
এমনকি অনেক বেসরকারি সংস্থাও স্বতঃস্ফূর্তভাবে একই নীতি গ্রহণ করেছে। তালিকায় রয়েছে - জোম্যাটো, সুইগি, এল অ্যান্ড টি (L&T), বাইজুস এবং গোজুপ। এই সংস্থাগুলি তাদের মহিলা কর্মীদের জন্য মাসে একদিনের ঋতুকালীন ছুটি চালু করেছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন