WB Hill Politics: পাহাড়ের রাজনীতিতে ফের নতুন সমীকরণ? জল্পনা রাজনৈতিক মহলে
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং-এর পাহাড়ে একটি নতুন রাজনৈতিক সমীকরণ তৈরি হচ্ছে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। বিমল গুরুং-এর নেতৃত্বাধীন গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (জিজেএম) এবং অজয় এডওয়ার্ডের নেতৃত্বাধীন হামরো পার্টি, ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (BGPM) এবং তৃণমূলের জোটের মোকাবিলা করতে আরও কাছাকাছি আসছে৷ যা পাহাড়ের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ গড়ে তুলতে পারে।
এই সম্ভাব্য জোটের জল্পনা শুরু হয়েছে সম্প্রতি। যখন GJM নেতৃত্ব অজয় এডওয়ার্ডকে নতুন দিল্লিতে পৃথক গোর্খাল্যান্ড রাজ্যের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনার বিষয়ে এক সেমিনারে যোগ দিতে আমন্ত্রণ জানায়। যে সেমিনারের মূল আয়োজক ছিল গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা (GJM)।
পার্বত্য রাজনীতিতে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর প্রেক্ষিতে এই তৎপরতাকে তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করা হচ্ছে। গত মাসে বিজিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেস জোট তাদের শিবিরে আগে নির্বাচিত ছয়জন হামরো পার্টির কাউন্সিলরকে নিজেদের পক্ষে এনে দার্জিলিং পাহাড়ের রাজনীতির নিয়ন্ত্রণ নিতে সক্ষম হয়েছিল।
এই বছরের ফেব্রুয়ারিতে, হামরো পার্টি নাগরিক সংস্থার ৩২টি ওয়ার্ডের মধ্যে ১৮টিতে জিতে দার্জিলিং পৌরসভার নিয়ন্ত্রণ নেয়। বিজিপিএম-তৃণমূল জোট মোট ১০টি আসন পায়। যার মধ্যে বিজিপিএম আটটি এবং তৃণমূল দুটিতে জয়ী হয়। জিজেএম, যারা একসময় উত্তরবঙ্গের পাহাড়ে শেষ কথা ছিল, এই নির্বাচনে মাত্র চারটি আসনে জয়লাভ করে। এই বছরের নভেম্বরে নয় মাসের মধ্যে হামরো দলের ছয়জন কাউন্সিলর বিজিপিএম-তৃণমূল জোটে যোগদানের পরে পুরো ছবি পাল্টে যায়।
প্রকৃতপক্ষে, জিজেএম এবং হামরো পার্টি - দুই দলের নেতৃত্বই পাহাড়ের দুই রাজনৈতিক শক্তির মধ্যে ভবিষ্যতের বোঝাপড়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেয়নি।
হামরো পার্টির অজয় এডওয়ার্ডের মতে, গোর্খাল্যান্ড ইস্যুতে দার্জিলিংয়ের মানুষের অনুভূতি জড়িত। "আমরা সর্বদা এর পক্ষে সোচ্চার ছিলাম। রাজ্যের আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে বিমল গুরুংয়ের সাথে আলোচনার সম্ভাবনা রয়েছে। একই সময়ে, বিজিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেস জোট যেভাবে আমাদের নির্বাচিত কাউন্সিলরদের নিজেদের পক্ষে নিয়েছে তা অনৈতিক। এই ঘটনা পাহাড়ের রাজনীতিতে শান্তি বিঘ্নিত করতে পারে" বলেও তিনি জানান।
জিজেএমের সাধারণ সম্পাদক, রোশন গিরি জানিয়েছেন, যেহেতু পাহাড়ে একটি স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধান তার দলের প্রধান লক্ষ্য, তাই সেমিনারে হামরো পার্টির মতো পাহাড়ের সমমনা শক্তিকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
বর্ষীয়ান রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং পাহাড় রাজনীতির বিশেষজ্ঞ নির্মাল্য ব্যানার্জি এই প্রসঙ্গে বলেন, GJM-হামরো পার্টির ভবিষ্যত বোঝাপড়া খুবই সম্ভব কারণ। এই দুই শক্তিকে বিজিপিএম-তৃণমূল কংগ্রেস জোট এক জটিল দিকে ঠেলে দিয়েছে৷ তাঁর মতে, "এখন, GJM-হামরো পার্টি কীভাবে স্থায়ী রাজনৈতিক সমাধানের বিষয়ে সহমতের জায়গায় পৌঁছায় তার ওপরেই এই জোটের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।"
SUPPORT PEOPLE'S REPORTER
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

