

আসন্ন মাঘমেলায় একাধিক ‘কলঙ্কিত এবং জেলবন্দী’ সাধু এবং তাঁদের সংস্থাকে জায়গা দেওয়া নিয়ে বিতর্কের মুখে উত্তরপ্রদেশের যোগী প্রশাসন। যে ঘটনায় সাধুদের বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে কড়া প্রতিক্রিয়া জানানো হয়েছে। প্রয়াগরাজে এই মেলা অনুষ্ঠিত হতে চলেছে। আগামী ১৪ জানুয়ারী এই মেলার প্রথম স্নান।
জানা গেছে, গুরুকে হত্যার অভিযোগে অভিযুক্ত এবং বর্তমানে নৈনি জেলে বন্দী আনন্দ গিরিকে এই মেলায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। অখিল ভারতীয় আখাড়া পরিষদ প্রধান মহন্ত নরেন্দ্র গিরি হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত আনন্দ গিরি। গঙ্গা সেনা শিবিরের প্রতিষ্ঠাতা আনন্দ গিরিকে গত বছরের ২০ সেপ্টেম্বর মহন্ত নরেন্দ্র গিরির ঝুলন্ত দেহ উদ্ধারের পর গ্রেপ্তার করা হয়। আসন্ন মাঘ মেলায় গঙ্গা সেনা শিবিরকে সেক্টর ৫-এ জায়গা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ২০১৯-এর কুম্ভ মেলার সময় মহন্ত নরেন্দ্র গিরি মেলা প্রশাসনকে জানিয়েছিলেন কোনো কলঙ্কিত সংগঠনকে মেলাতে যেন জায়গা না দেওয়া হয়। তাঁর আবেদনের পরেই তৎকালীন মুখ্য মেলা প্রশাসক বিজয় কিরণ আনন্দ এই ধরণের সমস্ত সংগঠনকে মেলা থেকে নিষিদ্ধ করেছিলেন।
আনন্দ গিরি ছাড়াও এবারের মেলাতে অন্য এক কলঙ্কিত সাধু, সাকেত ধামের রাম সুভগ দাসকেও জমি দেওয়া হয়েছে। বিনাইকা বাবা নামে পরিচিত এই সাধু বর্তমানে ধর্ষণের অভিযোগে মধ্যপ্রদেশের কারাগারে বন্দী আছেন।
সাকেত ধামকে জায়গা দেওয়া হয়েছে গঙ্গার ঝুন্সি এলাকায়। মেলাতে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক্স গ্যাজেট ব্যবহারের জন্য সাকেত ধাম জনপ্রিয়। প্রতিবারই মেলাতে বিনাইকা বাবাকে ওয়াকি টকি সহযোগে দেখা যায়। এমনকি তাঁর ছাউনিতে তিনি সিসিটিভি-রও ব্যবহার করেন। এই বছর সাকেত ধামের পক্ষে মেলায় থাকবেন স্বামী অমৃত দাস।
এই প্রসঙ্গে মাঘ মেলা আধিকারিক শেষমণি পান্ডে জানিয়েছেন, একথা সত্যি যে এবারে এমন কিছু সাধু বা তাঁদের সংস্থাকে মেলায় জায়গা দেওয়া হয়েছে যারা জেলবন্দী আছেন। প্রতিবছরই বেশকিছু কল্পবাসী তাঁদের ছাউনি পরিদর্শন করেন এবং এখানে থাকেন। সেইদিকে লক্ষ্য রেখেই সাধুদের সংগঠনের পক্ষ থেকে জায়গার জন্য আবেদন জানানো হয়েছিলো। সাধারণ মানুষের চাহিদার ভিত্তিতেই এবারের মেলাতে ওই সব সংগঠনের জন্য জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন