নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দামবৃদ্ধিতে আগেই ঘুম উড়েছিল মধ্যবিত্তের। এবার তাতে সংযুক্ত হতে চলেছে টিভি, ফ্রিজ ও ওয়াশিংমেশিনের মত বৈদ্যুতিন যন্ত্র। মে মাসের শেষের দিকে বা জুন মাসের শুরুতেই বিভিন্ন সংস্থা এইসমস্ত জিনিসের দাম বৃদ্ধি করবে বলেই জানা যাচ্ছে।
অতিমারীর পর এক লাফে দাম বৃদ্ধি হয়েছিল বহু নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের। ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে জ্বালানি তেল সবের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। মাছ, মাংস, আলু, বেগুন, পটল মধ্যবিত্তের হেঁসেলের দরকারি দ্রব্যগুলির দাম বাজারে আকাশছোঁয়া। সেই তালিকায় নাম লেখাতে চলেছে টিভি, রেফ্রিজারেটর ও ওয়াশিং মেশিনের মত ইলেকট্রিক যন্ত্রগুলি। শোনা যাচ্ছে , প্রায় ৩ থেকে ৫ শতাংশ দাম বাড়তে পারে এইসব বৈদ্যুতিন যন্ত্রের।
খুচরো পণ্যের মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে ৭.৭৯ শতাংশে ঠেকেছে যা বিগত আট বছরের রেকর্ড। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এই মুদ্রাস্ফীতির জন্যই পেট্রোল-ডিজেলের দাম বাড়ছে। কনজিউমার্স ইলেট্রনিক্স অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েন্স ম্যানুফ্যাকচারিং অ্যাসোসিয়েশান সূত্রে খবর - এই সমস্যা ডলার পিছু ভারতীয় মুদ্রার দামের পতনের জন্য হচ্ছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এর মধ্যে ১২-১৫ শতাংশ বিভিন্ন পণ্যপিছু দাম বাড়িয়েছে হিন্দুস্থান ইউনিলিভার লিমিটেড। তাছাড়া সম্প্রতি বিভিন্ন শ্যাম্পুর দাম পূর্বনির্ধারিত দামের থেকে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়ানো হয়েছে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে জিনিসের মূল্য এক রেখে ওজনের পরিমাণ কমিয়ে দেওয়া হচ্ছে। বড় বড় কোম্পানিগুলি প্যাকেজিংয়ের ক্ষেত্রেও খরচ কমিয়ে এনেছে। জ্বালানির দামবৃদ্ধির ফলেই এমন পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
এই মুদ্রাস্ফীতি প্রসঙ্গে আগেই সতর্ক করেছিল রিজার্ভ ব্যাংক অফ ইন্ডিয়া। ব্যাংক সূত্রে জানা যাচ্ছে চলতি বর্ষেই সেপ্টেম্বর মাসে বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম আরও বাড়বে। বিক্রেতাদের দাবি এইভাবে যদি দাম বাড়ে তাহলে ব্যবসা করা খুব কষ্টকর। অন্যদিকে ক্রেতারা এই মূল্যবৃদ্ধির জেরে রীতিমতো আতঙ্কিত। তাঁরা বলছেন, এই মূল্য বৃদ্ধির ব্যাপারে সরকার পদক্ষেপ না করলে, সাধারণ মানুষের সুস্থভাবে বেঁচে থাকা দুষ্কর হবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।