

ইলেক্টোরাল বন্ড বা নির্বাচনী বন্ডে লাভবান তালিকার শীর্ষে সর্বভারতীয় দল হিসাবে বিজেপির ধারেকাছে কেউ না থাকলেও, দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে আঞ্চলিক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১৯ সালের এপ্রিল মাস থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত, গত ৫ বছরে তৃণমূলের প্রাপ্ত অনুদান ১,৬০০ কোটি টাকারও বেশি।
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ মেনে স্টেট ব্যাঙ্ক ইলেক্টোরাল বন্ডের যে তথ্য দিয়েছে, তা বৃহস্পতিবার রাতে নিজেদের ওয়েবসাইটে আপলোড করেছে জাতীয় নির্বাচন কমিশন। সেই প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, গত পাঁচ বছরে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাপ্ত অনুদানের পরিমাণ ১,৬০৯ কোটি টাকা।
তথ্য অনুসারে, ২০১৯ সালের জুলাই থেকে ২০২০ সালের জানুয়ারি পর্যন্ত ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে ৪৮ কোটি টাকা পেয়েছে তৃণমূল। ২০২০ সালে অক্টোবর-নভেম্বর থেকে ২০২১ সালের জানুয়ারি মাস পর্যন্ত করোনার প্রথম ওয়েভের সময় তৃণমূল মোট ৪৩.৪ কোটি টাকা মূল্যের ৬৫টি ইলেক্টোরাল বন্ড পেয়েছিল। এরপর গত বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকে বন্ড থেকে তৃণমূলের আয় বৃদ্ধি পায়।
বিধানসভা ভোটের সময় এপ্রিল মাসে তৃণমূল কংগ্রেস ৫৫.৪৪ কোটি টাকা মূল্যের ১৭১ টি ইলেক্টোরাল বন্ড সংগ্রহ করেছিল। এবং ফল ঘোষণার পর জুলাইতেই তৃণমূল ১০৭.৫৬ কোটি টাকার মোট ৩৩৭টি ইলেক্টোরাল বন্ড সংগ্রহ করে। উল্লেখ্য, রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন ছিল ২০২১ সালের ২৭ মার্চ থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত। ভোটের ফল প্রকাশ ছিল ২ মে।
এরপর ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে ১৪১.৯২ কোটি টাকা এবং ২০২২-এর জানুয়ারিতে ২২৪ কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে সংগ্রহ করে দল। এরপরে ২০২২ সালের এপ্রিল মাসে ১৮ কোটি টাকা ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে আয় করে তৃণমূল কংগ্রেস। ২০২২-এর জুলাইতে সেটা বেড়ে দাঁড়ায় ৬৬.৫ কোটি টাকায়। ২০২২ সালের অক্টোবরে তৃণমূল ইলেক্টোরাল বন্ডের মাধ্যমে মোট ১৪৩ কোটি টাকা আয় করে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন