Lok Sabha Polls 24: যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে ত্রিমুখী লড়াই - পাল্লা ভারী কার?

People's Reporter: যাদবপুর কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্টের সিপিআইএম প্রার্থী করা হয়েছে সৃজন ভট্টাচার্যকে। যিনি মূলত ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন।
সায়নী ঘোষ, সৃজন ভট্টাচার্য এবং অনির্বাণ গাঙ্গুলি
সায়নী ঘোষ, সৃজন ভট্টাচার্য এবং অনির্বাণ গাঙ্গুলিগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রে সিপিআইএম, তৃণমূল এবং বিজেপির মধ্যে ত্রিমুখী লড়াইয়ের ইঙ্গিত দিচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এক তরুণ তুর্কি বনাম এক অভিনেত্রী বনাম এক বিদগ্ধ ব্যক্তিত্ব।

পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যাদবপুর লোকসভা কেন্দ্রের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ২০০৯ সাল থেকে এই লোকসভা কেন্দ্র রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলের দখলে। তবে লক্ষ্যণীয় বিষয় এই কেন্দ্রে জয়ী প্রার্থীকে প্রতিবারই বদল করেছে তৃণমূল। কবীর সুমন, সুগত বসু থেকে মিমি চক্রবর্তী। এবারেও এই কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী অপর এক অভিনেত্রী। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে কোনো দলই যে সহজে এই কেন্দ্র থেকে জিততে পারবে না তা কার্যত পরিষ্কার।

যাদবপুর কেন্দ্র থেকে বামফ্রন্টের সিপিআইএম প্রার্থী করা হয়েছে সৃজন ভট্টাচার্যকে। যিনি মূলত ছাত্র রাজনীতি থেকে উঠে এসেছেন। বাম ছাত্র সংগঠন এসএফআই-র রাজ্য সম্পাদক পদেও দায়িত্ব সামলেছিলেন তিনি। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনেও সিপিআইএম-র হয়ে সিঙ্গুরে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন সৃজন।

সৃজন জানান, "যাদবপুর কেন্দ্রের বড়ো অংশেই বেশিরভাগ মধ্যবিত্ত শ্রেণির মানুষের বাস। আমার লক্ষ্য হচ্ছে বামেদের লাল দুর্গ যাদবপুরকে পুনরায় উদ্ধার করা। আমার সর্বস্ব দিয়ে লড়বো"।

২০২৪ লোকসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী অভিনেত্রী সায়নী ঘোষ। তিনিও ২০২১ সালে বিধানসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন। আসানসোল দক্ষিণ কেন্দ্রে পরাজিত হন তিনি।

অন্যদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন অনির্বাণ গাঙ্গুলি। তিনিও ২০২১ সালের বিধানসভায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন বোলপুর থেকে। কিন্তু পরাজিত হন। তিনি বলেন, “যাদবপুরে আগের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদরা নির্বাচিত হওয়ার পরে কেন্দ্রের মানুষদের ভুলে গিয়েছিলেন। তাই আমি ভোটারদের কাছে আবেদন করছি এইবার এমন কোনো প্রার্থীকে বেছে নিন, যিনি নির্বাচিত হওয়ার পর সারা বছর সাধারণ মানুষের পাশে থাকবেন।

অতীতে এই আসন থেকেই লোকসভা নির্বাচনে দু'বার জয়ী হয়েছিলেন লোকসভার প্রাক্তন স্পিকার সিপিআইএম প্রার্থী সোমনাথ চ্যাটার্জি। ইন্দিরা গান্ধীর হত্যাকান্ডের পর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ১৯৮৪ সালে কেন্দ্র থেকেই কংগ্রেস প্রার্থী হিসেবে জয়ী হয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। এরপর সিপিআইএম-এর মালিনী ভট্টাচার্য, তৃণমূলের কৃষ্ণা বসু এবং সিপিআইএম-এর সুজন চক্রবর্তী জয়ী হন।

২০০৯ সালে এই কেন্দ্রে তৃণমূলের প্রার্থী হিসেবে সঙ্গীত শিল্পী কবীর সুমন জয়ী হয়েছিলেন। ২০১৪ সালে তৃণমূল দাঁড় করায় সুগত বসুকে। ২০১৯ সালে তৃণমূলের টিকিটে জয়ী হন অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী। যদিও নির্বাচন ঘোষণার আগেই মিমি চক্রবর্তী ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেন।

কবীর সুমন এবং মিমি চক্রবর্তীকে নিয়ে যাদবপুর কেন্দ্রের মানুষদের ক্ষোভ ছিল চোখে পড়ার মতো। সকলেরই অভিযোগ, সংসদীয় এলাকাতে খুবই কম দেখা যেত কবীর সুমন এবং মিমিকে। সাধারণ মানুষের দরকারে কোনো দিন পাওয়া যায়নি। সায়নী ঘোষকে নিয়েও একই আশঙ্কা রয়েছে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে। কারণ তিনিও এক অভিনেত্রী।

সায়নী ঘোষ, সৃজন ভট্টাচার্য এবং অনির্বাণ গাঙ্গুলি
WB: ভোট এলেই অঙ্গে আঘাত, শুভেন্দু মারলে বাঁচবে না কেউ - বিতর্কিত মন্তব্য করে সমালোচিত শিশির অধিকারী
সায়নী ঘোষ, সৃজন ভট্টাচার্য এবং অনির্বাণ গাঙ্গুলি
Lok Sabha Polls 24: বাংলায় সাত দফায় নির্বাচন, আপনার কেন্দ্রে কবে ভোট দেখুন

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in