Bankura: দাউ দাউ করে জ্বলছে সোনামুখীর জঙ্গল, আগুন নেভাতে ঝাঁপিয়ে পড়ল খুদে পড়ুয়ারা

People's Reporter: জল না থাকায় বালি ও গাছের ডাল ভেঙ্গে জঙ্গলের আগুন নেভায় স্কুল পড়ুয়ারা। ছোটো পড়ুয়াদের এই উদ্যোগের প্রশংসা করেছেন গ্রামবাসীরা।
দাউ দাউ করে জ্বলছে সোনামুখীর জঙ্গল
দাউ দাউ করে জ্বলছে সোনামুখীর জঙ্গলছবি সৌজন্যে ফেসবুক
Published on

ভোটের বাজারে এ-এক অন্য চিত্র। একটা মন ভালো করা ছবি। ৪০ ডিগ্রি গরমের মধ্যেও জঙ্গলের আগুন নেভালো সোনামুখী ব্লকের খাগ জুনিয়ার হাই স্কুলের পড়ুয়ারা। জল না থাকায় বালি ও গাছের ডাল ভেঙ্গে জঙ্গলের আগুন নেভায় স্কুল পড়ুয়ারা। ছোটো পড়ুয়াদের এই উদ্যোগে প্রশংসা করেছেন গ্রামবাসীরা।

জানা গেছে, দাউ দাউ করে জ্বলছিল বাঁকুড়ার সোনামুখীর জঙ্গল। সেই সময় স্কুলে পরীক্ষা দিতে আসছিলেন খাগ জুনিয়ার হাই স্কুলের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র সৌম কর্মকার। নজরে আসে জঙ্গলে আগুন লাগার দৃশ্য। প্রাণপন ছুটে ঘটনার কথা জানায় সহপাঠী এবং স্কুলের শিক্ষকদের। সময় অপচয় না করে স্কুল থেকে জঙ্গলের উদ্দেশ্যে ছুটতে থাকে ছাত্র-ছাত্রীরা এবং শিক্ষকরা। হাতের কাছে যে যা পেয়েছে তাই দিয়েই আগুন নেভানোর চেষ্টা করেছেন ছাত্রছাত্রীরা এবং শিক্ষকরা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া একাধিক ছবিতে দেখা যায় গাছের ডাল ভেঙে অথবা ধুলোবালি দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করছে খুদে পড়ুয়ারা। প্রায় দেড় ঘন্টার প্রচেষ্টায় অবশেষে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। এরপর দীর্ঘ সময় পরে ঘটনাস্থলে আসেন বনদপ্তরের কর্মীরা। তবে কে বা কারা এই আগুন লাগিয়েছে তা জানা না গেলেও প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে কোন অসাধু ব্যক্তি এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছেন।

খাগ জুনিয়র হাই স্কুলের খুদে পড়ুয়াদের দাবি, এইভাবে জঙ্গলে আগুন লাগালে পরিবেশে অক্সিজেনের ঘাটতি হবে। ছোট চারা গাছ নষ্ট হবে। মৃত্যু হবে জঙ্গলের পশু পাখির থেকে শুরু করে ছোট ছোট প্রাণীদের।

খাগ জুনিয়র হাইস্কুল পরিচালন সমিতির সম্পাদক লালমোহন ঘোষ বলেন, আমাদের এলাকাটি জঙ্গল অধ্যুষিত। জঙ্গল রক্ষা করে স্থানীয় বাসিন্দারা সরকারের কাছ থেকে লভ্যাংশ পান। জঙ্গলের প্রতি কচিকাঁচাদেরও একটা ভালোবাসা জন্মেছে। ওদের শুভ উদ্যোগকে আমরা সাধুবাদ জানিয়েছি। 

স্কুলে পুঁথিগত বিদ্যার পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের পরিবেশ সম্বন্ধে এতটা সচেতন দেখে খুশি এলাকার মানুষজন।

দাউ দাউ করে জ্বলছে সোনামুখীর জঙ্গল
Abishek banerjee: ‘প্রশান্ত কিশোর ওভাররেটেড’, প্রাক্তন ভোট কুশলীকে নিয়ে মন্তব্য অভিষেকের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in