

গুজরাটে ৫.৭০ লক্ষেরও বেশি শিশু অপুষ্টিতে ভুগছে। বুধবার গুজরাট বিধানসভায় একথা জানালেন সে রাজ্যের মহিলা ও শিশু উন্নয়ন মন্ত্রী ভানুবেন বাবরিয়া। এই পরিস্থিতি মোকাবিলায় ইতিমধ্যেই উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে গুজরাট সরকারের পক্ষ থেকে বলে জানিয়েছেন মন্ত্রী।
বুধবার গুজরাট বিধানসভায় চলছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব। এই পর্ব চলাকালীন কংগ্রেস বিধায়কদের উত্থাপিত একাধিক প্রশ্নের উত্তরে এদিন মন্ত্রী জানান, রাজ্যের ৫.৭০ লক্ষ অপুষ্ট শিশুর মধ্যে প্রায় ৪.৩৮ লক্ষ শিশুর ওজন স্বাভাবিকের থেকে কম এবং ১.৩১ লক্ষ শিশু 'গুরুতর অপুষ্টি'র শিকার।
এদিন বিধানসভায় ভানুবেন বাবরিয়া অপুষ্টি সংক্রান্ত ২০২৩ সালের রিপোর্ট পেশ করেন। সেই রিপোর্ট অনুযায়ী, আহমেদাবাদের উচ্চ-শহুরে জেলায় রয়েছে সর্বাধিক সংখ্যক অপুষ্ট শিশু - ৫৬,৯৪১। তারপরে উপজাতী অধ্যুষিত দাহোদে রয়েছে ৫১,৩২১ জন। এছাড়াও বানাসকান্থায় (৪৮,৮৬৬), পঞ্চমহলে (৩১,৫১২), খেদায় (২৮,৮০০), সুরাটে (২৬,৮২১) এবং ভাবনগরে (২৬,১২৮) অপুষ্ট শিশু রয়েছে।
এক বছরে, সব থেকে বেশি অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা বেড়েছে খেদা জেলায়, ৯,৬৩৪ জন।খেদার পরে রয়েছে আহমেদাবাদ, ৩,৫১৬ শিশু। এছাড়াও ভারুচে ১,৫৮৪ এবং ভালসাদে ১,৩৩৫ অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা বেড়েছে। এই চার জেলা বাদে গুজরাটের অন্যান্য জেলায় ২০২৩ সালে অপুষ্টিতে ভোগা শিশুর সংখ্যা কমেছে।
মন্ত্রী এদিন বিধানসভায় জানান, অপুষ্টি দূর করতে রাজ্য সরকার বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে। ৩ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের স্থানীয় অঙ্গনওয়াড়ি কেন্দ্র থেকে সকালে গরম খাবার এবং দুপুরের খাবার দেওয়া হয়। এ ছাড়া সপ্তাহে দুদিন শিশুদের ফল দেওয়া হয়।
পাশাপাশি, রাজ্য সরকার অপুষ্টি মোকাবিলায় অঙ্গনওয়াড়ি শিশুদের এবং তাদের মায়েদের ডবল-ফোর্টিফাইড লবণ, ফোর্টিফাইড তেলের পাশাপাশি গমের আটাও দেয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন