Femicides: বিশ্বজুড়ে প্রতি ১০ মিনিটে সঙ্গী অথবা পরিবারের হাতে নিহত হন ১ মহিলা, দাবি UN রিপোর্টে

People's Reporter: একথা জানিয়েছেন ইউএনওডিসি-র ভারপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জন ব্র্যান্ডোলিনো। রিপোর্টে অনুসারে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী বা মেয়ে সঙ্গীর হাতে নিহত হন। গড়ে দিন প্রতি যে সংখ্যা ১৩৭।
ছবি প্রতীকী
ছবি প্রতীকী ছবি ইউএন রিপোর্টের কভার থেকে স্ক্রিনশট
Published on

বিশ্বজুড়ে বহু নারী ও মেয়েদের জন্য তাঁদের ঘরই বিপজ্জনক জায়গা বা প্রাণঘাতী স্থান হয়ে উঠছে। সম্প্রতি এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করে একথা জানিয়েছেন ইউএনওডিসি-র ভারপ্রাপ্ত এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর জন ব্র্যান্ডোলিনো।

রিপোর্টে জানানো হয়েছে পৃথিবী জুড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একজন নারী বা মেয়ে সঙ্গীর হাতে নিহত হন। গড়ে দিন প্রতি যে সংখ্যা দাঁড়ায় ১৩৭। গতকাল ২৪ নভেম্বর রাষ্ট্রসংঘের পক্ষ থেকে প্রকাশিত এক সমীক্ষা রিপোর্ট প্রকাশ করেছে ইউনাইটেড নেশনস অফিস অন ড্রাগস অ্যান্ড ক্রাইম (UNDOC) এবং ইউএন ওম্যান (UN Women)। রিপোর্ট অনুসারে, প্রতিদিনই বিশ্বজুড়ে নারীহত্যা (Femicide) ঘটছে।

সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, গত বছর ৮৩ হাজার নারী এবং মেয়েকে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে হত্যা করা হয়েছে। যাদের মধ্যে ৬০ শতাংশ বা ৫০ হাজারের বেশি নারী ও মেয়ে নিহত হয়েছেন তাঁদের ঘনিষ্ঠ সঙ্গী অথবা পরিবারের সদস্যদের হাতে (২০২৩-এ এই সংখ্যা ছিল ৫১ হাজার ১০০)। যার অর্থ প্রতি ১০ মিনিটে অথবা প্রতিদিন গড়ে ১৩৭ জন নারী বা মেয়ের মৃত্যু হচ্ছে তাঁদের সঙ্গী অথবা পরিবারের সদস্যদের হাতে। উল্লেখ্য, এই একই বছরে ১১ শতাংশ পুরুষ তাঁদের সঙ্গী অথবা পরিবারের সদস্যদের হাতে নিহত হয়েছেন।

রিপোর্ট অনুসারে, আফ্রিকাতে প্রতি ১ লক্ষ নারী জনসংখ্যার ৩ শতাংশ, আমেরিকায় ১.৫ শতাংশ, ওশেয়ানিয়ায় ১.৪ শতাংশ, এশিয়ায় ০.৭ শতাংশ এবং ইউরোপে ০.৫ শতাংশ এই ধরণের ঘটনার শিকার। এই সমীক্ষায় আফ্রিকার মধ্যে ধরা হয়েছে ৫৮টি দেশ, আমেরিকার ৫৪টি, এশিয়ার ৫২টি, ইউরোপের ৫২টি, ওশেয়ানিয়ার ২৩টি দেশ অন্তর্ভুক্ত। পৃথিবীর মোট ২৩৯টি দেশ এই তালিকায় থাকলেও ১১৭টি দেশ থেকে তথ্য পাওয়া গেছে বলে ওই সমীক্ষা রিপোর্টে জানানো হয়েছে। যদিও সমীক্ষা জানাচ্ছে আফ্রিকা, এশিয়া এবং ওশেয়ানিয়া থেকে এই বিষয়ক পর্যাপ্ত তথ্য পাওয়া যায়নি।

সমীক্ষা রিপোর্টের মুখবন্ধে জানানো হয়েছে, নারীহত্যা (Femicide) নারী ও মেয়েদের বিরুদ্ধে লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংসার (Gender Based Violence) সবচেয়ে চরম প্রকাশ। প্রায়শই ঘটা এই ধরনের হত্যাকাণ্ড কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। বরং পৃথিবীর সমস্ত অঞ্চল এবং দেশকে এই ধরণের লিঙ্গ ভিত্তিক হিংসার ঘটনা প্রভাবিত করে। বিশ্বব্যাপী ১৫-৪৯ বছর বয়সী প্রতি ৪ জন নারী ও মেয়ের মধ্যে একজন (২৫.৮ শতাংশ) তাদের জীবনে অন্তত একবার বর্তমান বা প্রাক্তন স্বামী বা ঘনিষ্ঠ পুরুষ সঙ্গীর দ্বারা শারীরিক এবং/অথবা যৌন হিংসার শিকার হয়েছেন।

কীভাবে এই প্রবণতা কমানো যায় সেই বিষয়ে রিপোর্টে বলা হয়েছে, নারীহত্যা কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করার জন্য, ব্যক্তিগত ক্ষেত্রে সংঘটিত লিঙ্গ-ভিত্তিক হিংসার নির্দিষ্ট রূপগুলিকে মোকাবিলা করতে সুনির্দিষ্ট বিধি প্রয়োজন। কারণ ঘনিষ্ঠ সঙ্গী এবং পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের হাতে ঘটা নারীহত্যার মধ্যে মূলগত পার্থক্য রয়েছে। যদিও বিভিন্ন দেশে নারীহত্যা প্রতিরোধের জন্য প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে, তবুও এই ধরনের হত্যাকাণ্ড উদ্বেগজনকভাবে এখনও অনেকটাই বেশি। অনেক ক্ষেত্রে, নারীহত্যা বর্তমান সময়ে ঘটে যাওয়া হিংসার এক ধরণের করুণ পরিণতি।

ছবি প্রতীকী
ভারতে প্রতি ৮ মিনিটে একটি করে শিশু নিখোঁজ হচ্ছে! 'গুরুতর সমস্যা', উদ্বেগ শীর্ষ আদালতের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in