

ভারতে প্রতি আট মিনিটে একটি করে শিশু নিখোঁজ হচ্ছে। সম্প্রতি সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এটিকে গুরুতর সমস্যা হিসেবে বর্ণনা করেছে শীর্ষ আদালত।
সম্প্রতি এক মামলার শুনানিতে একটি নিউজ রিপোর্টের কথা উল্লেখ করেছে বিচারপতি বি ভি নাগরত্ন এবং আর মহাদেবনের একটি বেঞ্চ, যেখানে দাবি করা হয়েছে দেশে প্রতি ৮ মিনিটে একটি করে শিশু নিখোঁজ হচ্ছে। বিচারপতি নাগরত্ন তাঁর মৌখিক পর্যবেক্ষণে বলেন, “আমি একটি সংবাদপত্রে পড়েছি যে প্রতি আট মিনিটে দেশে একটি করে শিশু নিখোঁজ হচ্ছে। আমি জানি না এটি সত্য কিনা। তবে এটি একটি গুরুতর সমস্যা।“
বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, দেশে দত্তক গ্রহণ প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল। তাই এটি লঙ্ঘন করা হয়। সন্তান পেতে অবৈধ উপায় অবলম্বন করে দম্পতিরা। প্রক্রিয়াটি আরও সহজ করার জন্য কেন্দ্রকে অনুরোধ করেছে শীর্ষ আদালত।
এর আগের শুনানিতে (১৪ অক্টোবর) শীর্ষ আদালত দেশের সব রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলকে বলেছিল, নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে হওয়া মামলা পরিচালনা করার জন্য এক জন নোডাল অফিসার নিয়োগ করতে হবে। কেন্দ্রের নারী এবং শিশুকল্যাণ মন্ত্রকের ‘মিশন বাৎসল্য’ পোর্টালে ওই অফিসারদের নাম এবং যোগাযোগ সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে বলা হয়। গত সপ্তাহে হওয়া শুনানিতে, নোডাল অফিসার নিয়োগের জন্য ছয় সপ্তাহ সময় চান অতিরিক্ত সলিসিটর জেনারেল ঐশ্বর্য ভাটি। তবে সুপ্রম কোর্ট তা দিতে অস্বীকার করে। ৯ ডিসেম্বরের মধ্যে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন করতে বলা হয়েছে।
নিখোঁজ শিশুদের নিয়ে সুপ্রিম কোর্ট বরাবরই উদ্বেগ প্রকাশ করে এসেছে। শীর্ষ আদালত এর আগে কেন্দ্রকে নিখোঁজ শিশুদের সন্ধান এবং এই জাতীয় মামলাগুলি তদন্তের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তত্ত্বাবধানে একটি নিবেদিত অনলাইন পোর্টাল তৈরি করতে বলেছিল। আদালত বলেছিল, পোর্টালটিতে প্রতিটি রাজ্য থেকে একজন ডেডিকেটেড কর্মকর্তার নাম নথিভুক্ত থাকতে পারে যিনি তথ্য প্রচারের পাশাপাশি নিখোঁজ অভিযোগগুলিরও দায়িত্বে থাকবেন।
গুড়িয়া স্বয়ং সেবী সংস্থা নামক একটি এনজিও ভারতে অপহরণ হওয়া বা নিখোঁজ শিশুদের অমীমাংসিত মামলাগুলিতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে শীর্ষ আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল। আবেদনে গত বছর উত্তর প্রদেশে নথিভুক্ত পাঁচটি মামলার উল্লেখ ছিল, যেখানে একাধিক নাবালক ছেলে-মেয়েকে অপহরণ করে মধ্যস্থতাকারীদের মাধ্যমে ঝাড়খণ্ড, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানের মতো রাজ্যে পাচার করা হয়েছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন