
ফের দেশের সবথেকে পরিচ্ছন্ন শহরের তকমা পেল ইন্দোর। এই নিয়ে অষ্টম বার এই তালিকায় শীর্ষস্থানে জায়গা পেল মধ্যপ্রদেশের ইন্দোর। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাটের সুরাট। তৃতীয় স্থানে মহারাষ্ট্রের নভি মুম্বাই। পশ্চিমবঙ্গের মাত্র একটি শহর স্থান পেয়েছে এই তালিকায়। ৩৪ নম্বরে রয়েছে হুগলির বৈদ্যবাটি। ‘আশাব্যঞ্জক স্বচ্ছ শহর’-এর একটি হুগলির এই শহরটি।
প্রতি বছর দেশের শহরগুলির পরিচ্ছন্নতা নিয়ে সমীক্ষা করে কেন্দ্রীয় সরকার। বৃহস্পতিবার দিল্লির বিজ্ঞান ভবনে একটি কর্মসূচি আয়োজন করেছিল কেন্দ্রীয় আবাসন এবং নগরোন্নয়ন মন্ত্রক। সেখানেই রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্ম 'স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ ২০২৪-২৫'-এর বিজয়ীদের তালিকা ঘোষণা করেন।
স্বচ্ছ সর্বেক্ষণ অভিযানে মোট ৪,৫০০ শহরের উপর সমীক্ষা করা হয়। ৪৫ দিনের এই সমীক্ষায় কথা বলা হয় ১৪ কোটি শহুরে বাসিন্দাদের সঙ্গে। নিকাশি, বর্জ্য নিষ্কাশন পরিষেবা-সহ মোট ১০টি বিষয় দেখে বিজয়ী শহরের নাম ঘোষণা করা হয়।
তিন থেকে ১০ লক্ষ বাসিন্দা রয়েছে, এমন শহরগুলির মধ্যে পরিচ্ছন্নতার নিরিখে শীর্ষ স্থানে রয়েছে - নয়ডা, নয়াদিল্লি মিউনিসিপাল কাউন্সিল, ভিটা (মহারাষ্ট্র), পঞ্চগনি। বাসিন্দার সংখ্যা অনুযায়ী শহরগুলিকে বিভিন্ন বিভাগে ভাগ করে বিজয়ীর নাম ঘোষণা করা হয়। বাকি বিভাগগুলি হল — ৫০ হাজার থেকে তিন লক্ষ বাসিন্দা, ২০ হাজার থেকে ৫০ হাজার বাসিন্দা এবং ২০ হাজারেরও কম বাসিন্দা।
২০১৪ সালে কেন্দ্রে মোদী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকার স্বচ্ছ ভারত অভিযানের অধীনে এই পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান চালু করে। সূত্রের খবর, এই অভিযানের লক্ষ্য, শহরবাসীদের পরিচ্ছন্নতার বিষয়ে সতেচন করা। তাই প্রতি বছর এই পুরস্কার দেওয়া হয়। যাতে নাগরিকেরা আরও বেশি পরিচ্ছন্নতার দিকে নজর দেন। বৃহস্পতিবার মোট ৭৮টি পুরষ্কার প্রদান করেন রাষ্ট্রপতি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন