
আগামী ২৮ নভেম্বর ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন ইন্ডিয়া মঞ্চের শরিক ঝাড়খন্ড মুক্তি মোর্চার শীর্ষ নেতা হেমন্ত সোরেন। ঝাড়খন্ডের চতুর্দশ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন তিনি। ২০০২ সালের ১৫ নভেম্বর ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠিত হবার পর থেকে এখনও পর্যন্ত পরপর দু’বার একই ব্যক্তি মুখ্যমন্ত্রী হননি। এবার সেই রেকর্ড ভেঙে একটানা দ্বিতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এবং নিজের চতুর্থবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন সোরেন। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বাহারাইট কেন্দ্র থেকে ৩৯,৭৯১ ভোটে জয়ী হয়েছেন হেমন্ত সোরেন। এর আগে ২০১৩ সালে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি।
এক নজরে ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রীরা
২০০০ সালের নভেম্বরে ঝাড়খন্ড রাজ্য গঠিত হবার পর প্রথম মুখ্যমন্ত্রী হন বাবুলাল মারান্ডি। তিনি ২০০৩-এর ১৮ মার্চ পর্যন্ত পদে ছিলেন।
এরপর মুখ্যমন্ত্রী হন অর্জুন মুন্ডা। তিনি দায়িত্বে ছিলেন ২০০৫-এর ২ মার্চ পর্যন্ত।
ঝাড়খন্ডের তৃতীয় মুখ্যমন্ত্রী হন শিবু সোরেন। তিনি মাত্র ১০ দিনের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছিলেন।
এরপর ১২ মার্চ ২০০৫ ফের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন অর্জুন মুন্ডা।
১৮ সেপ্টেম্বর, ২০০৬ ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন মধু কোড়া।
২৭ আগস্ট ২০০৮ মুখ্যমন্ত্রী হন শিবু সোরেন। ১৯ জানুয়ারি ২০০৯-এ ক্ষমতাচ্যুত হবার পর প্রায় ১ বছর ঝাড়খণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকে। এরপর ৩০ ডিসেম্বর ২০০৯ ফের ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন শিবু সোরেন।
আবারও রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্য ১ জুন ২০১০ থেকে ১১ সেপ্টেম্বর ২০১০ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি থাকে।
১১ সেপ্টেম্বর মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন অর্জুন মুন্ডা। তিনি ১৮ জানুয়ারি, ২০১৩ পর্যন্ত সরকার চালানোর পর ফের ঝাড়খণ্ডে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি হয়।
১৩ জুলাই ২০১৩ ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন হেমন্ত সোরেন। তিনি ২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ পর্যন্ত দায়িত্ব সামলান।
২৮ ডিসেম্বর ২০১৪ ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন রঘুবর দাস। তিনি একটানা ২৯ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সরকার চালান।
২৯ ডিসেম্বর ২০১৯-এ ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন হেমন্ত সোরেন। ২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ পদ থেকে ইস্তফা দেবার পর ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী হন চম্পাই সোরেন।
এরপর ৪ জুলাই ২০২৪ আবারও ঝাড়খন্ডের মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নেন হেমন্ত সোরেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন