কথা ছিলো দু’বছরে তৈরি করা হবে ১৯,১২৮টি ক্লাসরুম। যদিও গুজরাট সরকারের শিক্ষা বিভাগ গত দু’বছরে প্রয়োজনীয় ১৯,১২৮টি ক্লাসরুমের মাত্র ১৪ শতাংশ নির্মাণ করতে সক্ষম হয়েছে। সোমবার রাজ্য বিধানসভায় একথা জানানো হয়েছে। বর্তমান বাজেট অধিবেশন চলাকালীন এক প্রশ্নের উত্তরে রাজ্য সরকার বিধানসভায় এই তথ্য জানিয়েছে।
শিক্ষামন্ত্রী জিতু ভাঘানি বিধানসভাকে জানান, বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৯,১২৮ টি ক্লাসরুমের প্রয়োজন ছিলো। যদিও রাজ্য সরকার গত দুই বছরে মাত্র ২,৭১৪টি ক্লাসরুম তৈরি করতে পেরেছে।
বিরোধী দল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এই প্রসঙ্গে জানানো হয়, রাজ্যের প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শ্রেণিকক্ষের প্রয়োজনীয়তা ক্রমাগত বাড়ছে। ২০১৫ সালে মোট ৮,৩৮৮টি ক্লাসরুমের ঘাটতি রিপোর্ট করা হয়েছিল। ২০১৮ সালের হিসাবে, প্রয়োজনীয়তা বেড়ে দাঁড়ায় ১৬,০০৮-টি। ২০২১ সালে মোট ১৮,৫৩৭টি ক্লাসরুমের প্রয়োজন বলে রিপোর্ট করা হয়েছিল।
বিজেপি শাসিত রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, "২০২২ সালে, মোট ১৯,১২৮টি ক্লাসরুমের প্রয়োজনের কথা জানানো হয়েছিল। গত দুই বছরে, রাজ্য সরকার সরকারী বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগের জন্য ২,৭১৪টি ক্লাসরুম তৈরি করেছে।
মন্ত্রী আরও জানান, এইসময় ডাঙ্গ, নর্মদা এবং তাপি জেলায় একটিও ক্লাসরুম নির্মিত হয়নি। যদিও এই তিন জেলায় যথাক্রমে ১৫৪, ১৮৩ এবং ১৬২টি ক্লাসরুমের প্রয়োজন। ১৮৮টি ক্লাসরুমের প্রয়োজনের বিপরীতে ২০১৯-২০ সালে গির-সোমনাথে মাত্র চারটি ক্লাসরুম নির্মাণ করা হয়েছিল। যদিও সেখানে প্রয়োজন ছিলো ১৮৮টি ক্লাসরুমের।
দাহোদ জেলায় সর্বাধিক সংখ্যক ক্লাসরুমের ঘাটতি রিপোর্ট করা হয়েছে। যেখানে ক্লাসরুমের ঘাটতি ১,৬৭৭। যেখানে এইসময়ে শুধুমাত্র ৬৬টি ক্লাসরুম নির্মাণ করা হয়েছে।
একইভাবে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিদ্যুত, সীমানা পাঁচিলের মতো সুবিধাগুলির জন্য কংগ্রেস বিধায়কদের আনা একাধিক প্রশ্নের উত্তরে শিক্ষামন্ত্রী হাউসকে জানান, মোট ২৩টি বিদ্যালয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ নেই। রাজ্যের ৫,৪৩৯টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ২৭২টি বেসরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কোনো সীমানা পাঁচিল নেই বলেও তিনি জানান।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।