
৪০ বছর ধরে একটি বাসস্ট্যান্ড তৈরি করার আবেদন জানিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা। যদিও গ্রামবাসীদের সেই আবেদনে কান দেয়নি স্থানীয় প্রশাসন। কোনও উদ্যোগ নেননি স্থানীয় বিধায়কও। কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় বিধায়কদের উদাসীনতায় ক্ষুব্ধ কর্ণাটকের গ্রামবাসীরা এরপর নিজেরাই নিজেদের বাসস্ট্যান্ড তৈরি করে নিলেন।
ক্ষুব্ধ গ্রামবাসীরা এই বাসস্ট্যান্ড উদ্বোধন করিয়েছেন এক মহিষকে প্রধান অতিথি করে। যে ঘটনা ক্ষমতাসীন বিজেপির বিব্রতকর পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। ইতিমধ্যেই এই অনুষ্ঠানের ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে।
ঘটনাটি ঘটেছে রাজ্যের গদগ জেলার লক্ষ্মেশ্বর তালুকের বালেহোসুর গ্রামে। যেখানে ৪০ বছর আগে যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করা হয়েছিল এবং এক দশক আগে সেই যাত্রী প্রতীক্ষালয়ের ছাদ ভেঙে পড়ে।
যাত্রী প্রতীক্ষালয়টি এরপর একটি ডাম্পিং ইয়ার্ডে পরিণত করা হয়। প্রখর রোদ এবং ভারী বৃষ্টিতেও অপেক্ষমান বাস যাত্রীদের এখানে কোনও প্রতীক্ষালয় ছাড়াই অপেক্ষা করতে হত।
স্থানীয় কৃষক নেতা লোকেশ জালাওয়াদাগি জানিয়েছেন, বিজেপি বিধায়ক রামাপ্পা লামানি এবং সাংসদ শিবকুমার উদাসীর কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দেওয়া ছাড়াও প্রতীক্ষালয় তৈরি করার জন্য অসংখ্যবার আবেদন করা হয়েছিল।
বিরূপাক্ষ ইটাগি নামক এক গ্রামবাসী জানিয়েছেন, "গ্রামের জনসংখ্যা ৫ হাজার এবং প্রতিদিন, কয়েকশো ছাত্র এবং সাধারণ মানুষ গ্রাম থেকে আশেপাশের শহরে যাতায়াত করে।"
গ্রামবাসীরা অভিনব উপায়ে সরকারের উদাসীনতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করার সিদ্ধান্ত নেয়। সরকারি সাহায্যের অপেক্ষায় না থেকে নারকেলের ডাল দিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রের ছাদ তৈরি করে এবং সেই প্রতীক্ষালয় উদ্বোধন অনুষ্ঠানে একটি মহিষকে প্রধান অতিথি করেন। তারা একটি ফিতা কাটা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এবং আরও প্রবলভাবে প্রতিবাদ জানানোর জন্য মহিষকে সাজায়।
সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ঘটনার ভিডিও এবং ছবি ভাইরাল হওয়ার পরে, কর্তৃপক্ষ এবং বিধায়করা আশ্বাস দিয়েছেন যে তারা শীঘ্রই একটি যাত্রী প্রতীক্ষালয় তৈরি করে দেবেন।
- with inputs from IANS
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন