শাড়ি পরে আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় ভারতের মহিলা চিকিৎসকের

People's Reporter: অসাধ্যকে সাধন করলেন ভারতের এক মহিলা চিকিৎসক। ঐতিহ্যবাহী সিল্ক শাড়ি পরে আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করেছেন চেন্নাইয়ের দন্তচিকিৎসক ইসা ফাতিমা জেসমিন।
দন্তচিকিৎসক ইসা ফাতিমা জেসমিন
দন্তচিকিৎসক ইসা ফাতিমা জেসমিনছবি - সংগৃহীত
Published on

আফ্রিকার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করা কোনও সাধারণ জয় নয়। তাও আবার শাড়ি পড়ে। কিন্তু এই অসাধ্যকে সাধন করলেন ভারতের এক মহিলা চিকিৎসক। ঐতিহ্যবাহী সিল্ক শাড়ি পরে এই ইতিহাস তৈরি করেছেন চেন্নাইয়ের দন্তচিকিৎসক ইসা ফাতিমা জেসমিন। এমনকি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ১৯,৩৪১ ফুট উঁচুতে অবস্থিত এই চূড়ায় পুশ-আপও করেন তিনি।

ছয়দিনের এই ট্র্যাকিংয়ের বেশিরভাগ সময়ই ইসা পাঁচ থেকে সাত স্তরের ট্র্যাক প্যান্ট এবং থার্মাল টপ পরেছিলেন। এই পোশাক তাঁকে মাইনাস তাপমাত্রার সাথে লড়াই করতে সাহায্য করে। কিন্তু ট্র্যাকিংয়ের শেষ দিনে তিনি শাড়ি ও বুট পরেন। চূড়ার তাপমাত্রা - ১৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল। এই অভিজ্ঞতা নিয়ে ইসা জানিয়েছেন, "এটার আগে থেকে কোনও পরিকল্পনা ছিল না। আমার শাড়ি পড়ার কারণ, আমি একজন পর্বতারোহীর পাশাপাশি নিজের ঐতিহ্য পরম্পরাকে ভালোবাসা এক মেয়েকে চূড়ায় দেখতে চেয়েছিলাম"।

ইসার জন্য এই আরোহণ ধৈর্যের চেয়েও বেশি কিছু ছিল। তিনি বলেছেন, "বিশ্ব প্রায়শই আমাদের বলে যে শক্তি কেমন হওয়া উচিত - শক্ত, স্পষ্ট, বর্মযুক্ত। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি শক্তিও শান্ত, শিকড়যুক্ত এবং ছয় গজের মধ্যে আবৃত হতে পারে। শক্তি আপনি কী পরিধান করবেন তাতে আবদ্ধ থাকে না - এটি আপনার ব্যক্তিত্বতে থাকে"।

তিনি বলেন, "আমাকে ঐতিহ্য এবং শক্তির মধ্যে কোনও একটিকে বেছে নিতে হয়নি। আমি দুটোকেই উপস্থাপিত করেছি।"

এর আগে এভারেস্ট বেস ক্যাম্প ট্র্যাকিং শেষ করেছেন ইসা। এবার মাউন্ট কিলিমাঞ্জারো জয় করলেন তিনি। তবে এর পরে তাঁর লক্ষ্য সম্পর্কে তিনি এখনও কিছু জানাননি। ইসা বলেন, "আমি কেবল করে যেতে চাই, সম্পূর্ণরূপে। সত্যি বলতে, আমি যেমন আছি"।

দন্তচিকিৎসক ইসা ফাতিমা জেসমিন
'দেশে গরীবের সংখ্যা বাড়ছে, সম্পদ ধনীদের হাতে কেন্দ্রীভূত হচ্ছে' - উদ্বেগ কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in