

২০১৬ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্পের অধীনে যত টাকা রিলিজ করা হয়েছে তার প্রায় ৮০ শতাংশ খরচ করা হয়েছে বিজ্ঞাপনের জন্য। বৃহস্পতিবার মহিলা ক্ষমতায়ন সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি লোকসভায় একথা জানিয়েছে।
বৃহস্পতিবার লোকসভায় "Empowerment of women through education with special reference to Beti Bachao, Beti Padhao scheme" নামক রিপোর্ট জমা দেয় কমিটি। সেখানে বলা হয়েছে, "২০১৬ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত এই প্রকল্পের অধীনে ৪৪৬.৭২ কোটি টাকা রিলিজ করা হয়েছে। যার মধ্যে ৭৮.৯১ শতাংশ অর্থ মিডিয়া অ্যাডভোকেসিতে ব্যয় করেছে সরকার।"
ভারতে নারী শিক্ষার হার বাড়াতে, লিঙ্গ বৈষম্য দূর করতে এবং মেয়েদের কল্যাণমূলক পরিষেবা পৌঁছে দিতে ২০১৫ সালে 'বেটি বাঁচাও, বেটি পড়াও' প্রকল্প চালু করেছিল কেন্দ্র সরকার। এটা মোদী সরকারের নজরকাড়া প্রকল্পগুলোর একটি।
মহিলা ক্ষমতায়ন কমিটি তাদের রিপোর্টে আরও জানিয়েছে, গত পাঁচ বছরে (২০১৪-১৫ থেকে ১০১৯-২০) এই প্রকল্পের পিছনে মোট ৮৪৮ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এই একই সময়ের মধ্যে রাজ্যগুলির জন্য রিলিজ করা হয়েছে ৬২২.৪৮ কোটি টাকা। কিন্তু বরাদ্দের মাত্র ২৫.১৩ শতাংশ অর্থাৎ ১৫৬.৪৬ কোটি টাকা ব্যয় করেছে রাজ্যগুলি। এই সমগ্র বিষয়টিকে 'হতাশাজনক' বলে মন্তব্য করেছে কমিটি, যার নেতৃত্বে রয়েছেন মহারাষ্ট্রের বিজেপি সাংসদ হিনা বিজয় কুমার গাভিত।
মহিলা এবং শিশু কল্যাণ মন্ত্রককে অবিলম্বে রাজ্য/কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির সাথে এই সমস্যাটি নিয়ে আলোচনা করার সুপারিশ করেছে কমিটি। কন্যা শিশুদের সুবিধার্থে বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও তহবিলের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করার সুপারিশ করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন