
মধ্যপ্রদেশের বর্তমান বিধায়কদের মধ্যে ১৯২ জনের সম্পদের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি হয়েছে বিগত পাঁচ বছরে। তথ্য অনুসারে এই বৃদ্ধির হার প্রায় ৫০ শতাংশ। সোমবার প্রকাশিত এক সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে বিগত পাঁচ বছরে ১৯২ জন বিধায়কের মোট সম্পদ ১১.৯১ কোটি টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৭.৮১ কোটি টাকা। যে ১৯২ জন বিধায়কের সম্পদ বেড়েছে তার মধ্যে বিজেপির বিধায়কের সংখ্যা ১০০।
অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (ADR) এবং মধ্যপ্রদেশ ইলেকশন ওয়াচের করা ওই সমীক্ষায় ১৯২ জন বিধায়কদের দেওয়া হলফনামার ভিত্তিতে এই রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এই ১৯২ জন বিধায়ক আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে পুনরায় প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
এডিআর-এর সমীক্ষা রিপোর্ট অনুসারে, ১৯২ জন বিধায়কের মধ্যে ১৮০ জনের (৯৪ শতাংশ) ক্ষেত্রে সম্পদ বেড়েছে ১ শতাংশ থেকে ১৯৮২ শতাংশ। অন্যদিকে ১২ জন (৬ শতাংশ) বিধায়কদের সম্পদ কমেছে ১ থেকে ৬৪ শতাংশ।
ওই রিপোর্ট অনুসারে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের যেসব বিধায়করা আবারও নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ২০১৮ সালের নির্বাচনের সময় তাঁদের গড় সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১.৯১ কোটি টাকা। যা ২০২৩ নির্বাচনের হলফনামে অনুসারে বেড়ে হয়েছে ১৭.৮১ কোটি টাকা।
রিপোর্ট জানাচ্ছে বিগত পাঁচ বছরে মধ্যপ্রদেশের ১৯২ জন বিধায়কের গড় সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ ৫.৯০ কোটি টাকা। এঁদের গড় সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ প্রায় ৫০ শতাংশ।
এডিআর রিপোর্ট জানাচ্ছে রতলাম শহর কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী চেতন কাশ্যপ বিধায়কদের সম্পদ বৃদ্ধির তালিকায় শীর্ষে আছেন। বিগত পাঁচ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৯১.৪৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ২০৪.৬৩ কোটি টাকা। যা এবার বেড়ে হয়েছে ২৯৬.০৮ কোটি টাকা।
একইভাবে তেন্ডুলখেদা কেন্দ্রের কংগ্রেস প্রার্থী সঞ্জয় শর্মার ( সম্পদ বেড়েছে ৮১.৫৫ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে নির্বাচনের সময় তাঁর মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৩০.৯৭ কোটি টাকা। যা এবার নির্বাচনের সময় বেড়ে হয়েছে ২১২.৫২ কোটি টাকা।
ইন্দোর ১ বিধানসভা কেন্দ্রের কংগ্রেস বিধায়ক সঞ্জয় শুক্লার সম্পদ বিগত পাঁচ বছরে বেড়েছে ৭৭.৪৭ কোটি টাকা। ২০১৮ তে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ছিল ১৩৯.৯৩ কোটি টাকা। যা ২০২৩-এ বেড়ে হয়েছে ২১৭.৪১ কোটি টাকা।
এডিআর রিপোর্ট জানাচ্ছে ২০১৮ সালে বিজেপি বিধায়কদের গড় সম্পদের পরিমাণ ছিল ১১.৬৫ কোটি টাকা। যা ২০১৩ সালে বেড়ে হয়েছে ১৫.৭৫ কোটি টাকা। বৃদ্ধির হার ৩৫.২১ শতাংশ।
অন্যদিকে ২০১৮ সালে কংগ্রেসের ৮৮ জন বিধায়কের মোট সম্পদের পরিমাণ ছিল ১২.৫৬ কোটি টাকা। যা এবার বেড়ে হয়েছে ২০.৫২ কোটি টাকা। অর্থাৎ বৃদ্ধির হার ৬৩.৪৩ শতাংশ।
রিপোর্ট জানাচ্ছে ২ বিএসপি বিধায়কের সম্পদ ২০১৮ সালের তুলনায় বেড়েছে ৮২.৫৭ শতাংশ। ২০১৮-র ৪.৩২ কোটি টাকা থেকে বেড়ে ২০২৩-এ যা হয়েছে ৭.৯০ কোটি। অন্যদিকে ১ নির্দল বিধায়কের সম্পদ বেড়েছে ১৮২.৬৪ শতাংশ। ২০১৮ সালে তাঁর মোট সম্পদ ছিল ৭.৯৩ কোটি যা ২০২৩ সালে হয়েছে ২২.৪২ কোটি টাকা।
২৩০ আসন বিশিষ্ট মধ্যপ্রদেশ বিধানসভায় ভোটগ্রহণ হবে আগামী ১৭ নভেম্বর এবং ভোটগণনা হবে ৩ ডিসেম্বর।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন