অমানবিক ঘটনার সাক্ষী থাকলো ছত্তিশগড়ের সুজাপুর। ফুটবল ফাটিয়ে ফেলার শাস্তি হিসেবে ৪৫ জন পড়ুয়াকে দু'দিন না খাইয়ে রাখলো এক আবাসিক স্কুল। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই সাসপেন্ড করা হয়েছে ওই আবাসিক সুপারকে।
ঘটনাটি ঘটেছে সুজাপুর জেলার অম্বিকাপুরে। সেখানে একটি আবাসিক স্কুল রয়েছে। আর্থিক ভাবে পিছিয়ে পড়া পরিবারের সন্তানরা ওই হস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। ১৪১ জন পড়ুয়া থাকে সেখানে। পুলিশ সূত্রে খবর, ২৮ অগাস্ট তাদের মধ্যেই বেশ কয়েকজন খেলতে খেলতে একটি ফুটবল ফাটিয়ে ফেলে। সুপার পিটার স্যাডমের কাছে খবর যেতেই সকল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন ৪৫ জনকে দু'দিন অভুক্ত রাখার।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, স্থানীয় মানুষজন পড়ুয়াদের কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারেন। পড়ুয়ারাই তাঁদের বলেছে দু'দিন ধরে কর্তৃপক্ষে খেতে দেয়নি। তারপরই খবর ছড়িয়ে পড়ে। ওই হস্টেলে এসে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরাও।
জেলা প্রশাসনের নির্দেশ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। পুলিশের কাছে খেতে না দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেন সুপার। তাঁর দাবি, ভুল কাজের শাস্তি পাওয়া উচিত। সেই জন্যই তাদের খেতে দিইনি। কারণ বাচ্চাদের জন্য আমরা সবকিছুর ব্যবস্থা করে দেওয়ার পরেও তারা কখনও ফুলের টব ভাঙে, আবার কখনও ফুটবল ফাটিয়ে ফেলে। তাদের এটাও শেখা উচিত মানুষ কত লড়াই করে বেঁচে আছে। তাই আমরা তাদের দু'বার খেতে দিইনি। দু'দিন ধরে খেতে না দেওয়ার অভিযোগ মিথ্যা।
উল্লেখ্য, তদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে বিশপ হাউস ওই সুপারকে সাসপেন্ড করেছে। কারণ আবাসিকটা বিশপ হাউসের অধীনেই আছে। ঘটনার পর শিশুকল্যাণ দপ্তরের আধিকারিকরা ওই হস্টেল ঘুরে দেখেন। হস্টেলের অবস্থা দেখে তাঁরা অবাক। কারণ ১৪১ জন পড়ুয়া দুটি ঘরে কষ্ট করে থাকে। এমনকি পড়ুয়াদের থাকার ঘরেই কীটনাশকের বোতলও উদ্ধার করেছেন তাঁরা।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন