

রামদেবকে অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা সম্বন্ধে করা তাঁর মন্তব্য প্রত্যাহার করতে বললেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডাঃ হর্ষবর্ধন। রবিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন – এই ধরণের মন্তব্য ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’। চিঠি লিখে রামদেবকে তাঁর বক্তব্য প্রত্যাহার করার কথা জানিয়েছেন ডাঃ হর্ষবর্ধন।
ওই চিঠিতে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী লিখেছেন – এই মন্তব্য দেশের করোনা যোদ্ধাদের প্রতি অশ্রদ্ধার প্রকাশ এবং দেশের ভাবাবেগকে আহত করেছে। আপনার এই মন্তব্যের কারণে স্বাস্থ্যকর্মীদের মনোবল ভেঙে যেতে পারে এবং তা আমাদের করোনা যুদ্ধের ক্ষতি করবে। যার ফলে লক্ষ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় রামদেবের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। যেখানে তাঁকে বলতে দেখা যায়, অ্যালোপ্যাথি একটি স্টুপিড সায়েন্স। DCGI অনুমোদিত রেমডেসিভির, ফ্যাভি ফ্লু এবং অন্যান্য ওষুধগুলো করোনা রোগীদের সুস্থ করে তুলতে ব্যর্থ হয়েছে। অ্যালোপ্যাথি ওষুধ খেয়ে লক্ষ লক্ষ রোগীর মৃত্যু হয়েছে। আধুনিক চিকিৎসকরা খুনি।
গতকালই রামদেবের এই মন্তব্য উল্লেখ করে এক বিবৃতিতে আইএমএ জানায়, "যখন এই ধরনের একজন বিশিষ্ট ব্যক্তি এরকম মন্তব্য করেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রকের পুরো আর্কিটেকচার কর্তৃত্ব এবং নীতি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন, তখন স্বাস্থ্যমন্ত্রী যিনি নিজেই আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি অ্যালোপ্যাথিকে স্নাতকোত্তর এবং এই মন্ত্রকের প্রধান, তাঁকে হয় এই ভদ্রলোকের অভিযোগ এবং চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। নতুবা লক্ষ লক্ষ মানুষকে এই জাতীয় অবৈজ্ঞানিক মন্তব্যের হাত থেকে বাঁচাতে এই ব্যক্তির বিরুদ্ধে মহামারী আইনের অধীনে মামলা দায়ের করতে হবে।"
আইএমএ-র আরও অভিযোগ, বর্তমান পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে জনগণের মধ্যে ভয় ও হতাশা তৈরি করে নিজের অবৈধ ও অনুমোদনহীন ওষুধগুলো বিক্রি করে অর্থোপার্জনের চেষ্টা করছেন রামদেব।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন