৩০০ কর্মী ছাঁটাই করে রোষের মুখে পড়লেন উইপ্রো কর্তা ঋষদ প্রেমজি। অভিযোগ, তাঁর এই কাজকে ঘৃণ্য মনে করে অনেকেই তাঁকে মেইলের মাধ্যমে তিরস্কার করছেন। যা নিয়ে প্রতিক্রিয়াও দিয়েছেন উইপ্রো কর্তা।
বিশাল পরিমাণে কর্মী ছাঁটাই করে ক্ষোভের মুখে পড়াটা নতুন কিছু নয়। এই তালিকায় নয়া সংযোজন ঋষদ প্রেমজি। তবে ট্যুইটারে প্রচুর ঘৃণাসূচক হুমকি পাওয়ার পরও বিচলিত হননি প্রেমজি। এমনটাই তিনি দাবি করেছেন। তিনি বলেন, ঐ ৩০০ কর্মীর বিরুদ্ধে কোম্পানির সাথে প্রতারণা করার অভিযোগ উঠেছিল। তাঁরা মুনলাইটিং করছিলেন তাই বাধ্য হয়েই ছাঁটাই করা হয়েছে।
উইপ্রোর এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে ন্যাসেন্ট ইনফরমেশন টেকনোলোজি এমপ্লয়িজ সেনেট। তারা জানিয়েছে, উইপ্রো যে কাজটি করেছে তা সম্পূর্ণ অনৈতিক। NITES-র প্রধান হরপ্রীত সিং সালুজা বলেন, চাকরির ক্ষেত্রে চুক্তির সময় যে পদ্ধতি মানা হয় তাতে আইনি কিছু নিরাপত্তা থাকা দরকার। তিনি আরও বলেন, খবরটি সত্যি দুঃখজনক। মুনলাইটিং-র অভিযোগে ৩০০ কর্মীকে কাজ থেকে বরখাস্ত করল উইপ্রো! এটা বেআইনি। কর্মচারীদের ন্যায়বিচারের জন্য NITES লড়বে।
মুনলাইটিং নিয়ে দিধ্বাবিভক্ত আইটি সেক্টর। কিছুদিন আগেই টেক মাহিন্দ্রার সিপি গুরনানি বলেছিলেন, যদি কেউ কোম্পানির সমস্ত কাজ নিয়ম মতো করেন এবং পাশাপাশি অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করার জন্য অন্য কিছু করলেও করতে পারেন। তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই। এটা নিয়ে আমি একটি নীতি বা নিয়ম আনতে চাই। যাতে আগামীতে আপনাদের অসুবিধা না হয়। নিশ্চিন্তে আপনারা কাজও করতে পারবেন।
আবার মুনলাইটিং নিয়ে কিছুদিন আগেই কড়া পদক্ষেপ নিয়েছে ইনফোসিস। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, একই কর্মী ইনফোসিসে কাজ করছেন। তিনিই আবার অন্য কোম্পানিতে কাজ করছেন। এমন ঘটনা সামনে এলে, তা বরদাস্ত করা হবে না। কর্মীদের ই-মেল মারফত এমনই সতর্কতা জারি করেছিল ইনফোসিস।
মুনলাইটিং কালচারকে অনৈতিক বলেছে আইবিএমও। তারা বলেছে কর্মক্ষেত্রে এই ধরণের আচরণকে প্রশ্রয় দেয় না তাদের সংস্থা।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।