

‘মুনলাইটিং কালচার অনৈতিক। কর্মক্ষেত্রে এই ধরণের আচরণকে প্রশ্রয় দেয় না আমাদের সংস্থা।’- একসঙ্গে একাধিক সংস্থায় কাজ করা নিয়ে তৈরি হওয়া বিতর্কের মাঝে এমনই দাবি করেছে মার্কিন প্রযুক্তি সংস্থা আইবিএম (IBM)।
আইবিএম ইন্ডিয়ার ম্যানেজিং ডিরেক্টর সন্দীপ প্যাটেল বলেন, সারাদেশে শিল্পের ক্ষেত্রে আমাদের কোম্পানির অবস্থান ঠিক আছে। সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের কর্মীরা কোম্পানিতে যোগ দেওয়ার আগে একটি চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন। তাঁরা লিখিতভাবে IBM-এর জন্য পূর্ণ সময় কাজ করবেন বলে জানান। তাই, মুনলাইটিং-কে স্বীকার করা নৈতিকভাবে কখনই কাম্য নয়।’
গতকালই, এই ‘মুনলাইটিং’ নিয়ে কর্মীদের সতর্কতা জারি করেছে ভারতের অন্যতম প্রযুক্তি সংস্থা ইনফোসিস (Infosys)। কর্মীদের ই-মেল মারফত ইনফোসিস জানিয়েছে, ‘ইনফোসিসে কর্মরত থাকাকালীন, কাজের সময়ের বাইরে অন্য দ্বিতীয় কোনও কাজ করা যাবে না। অন্যথায় চাকরি খোয়াতে পারেন কর্মীরা।’
উইপ্রোর চেয়ারম্যান রিশাদ প্রেমজি এক টুইট বার্তায় জানান, 'সাধারণভাবে মুন লাইট একটি সহজ প্রতারণা।'
শুধু তাই নয়, উইপ্রো (Wipro)-র প্রতিষ্ঠাতা আজিম প্রেমজি জানিয়েছেন, মুনলাইটিং (Moonlighting) হল চিটিং। যিনি মুনলাইটিং করছেন, তিনি আদপে কোম্পানির নীতি এবং নৈতিকতার সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করছেন। যা কোনওভাবেই মেনে নেওয়া যায় না বলে জানিয়েছেন আজিম প্রেমজি।
মুনলাইটিং আসলে কি?
প্রযুক্তি সংস্থায় (IT Sector) একটি জনপ্রিয় শব্দ হল মুনলাইটিং (Moonlighting)। এটি একটি পদ্ধতি। যে পদ্ধতি অনুযায়ী, একজন কর্মী নিজের স্বায়ী চাকরীর পাশাপাশি অন্য কোনও কোম্পানিতে ‘অস্থায়ী চাকরি’ বা ফ্রিলান্সিং করে থাকেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন