

ভারত সরকারের তরফে আইনি অনুরোধে ৩৫টি টুইট আটকে রেখেছে টুইটার। সূত্রের খবর, গত ২১ জুন ভারত সরকারের তরফে ৩৭টি টুইটের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে আবেদন করা হয় টুইটারকে। লুমেন ডাটাবেসের তরফে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে এমনটা জানা গিয়েছে।
জানানো হয়েছে, এই টুইটগুলোর বিষয়বস্তু খতিয়ে দেখা হয়নি। টুইটের ইউআরএল ব্লক করে লুমেন ডাটাবেসে একটি মেসেজ দিয়ে লিখে দেওয়া হয়েছে, 'আইনি কারণে টুইটি ধরে রাখা হয়েছে।' আবার দুটি টুইটের ইউআরএলে লেখা হয়েছে, 'এই টুইটটি আপাতত দেখানো সম্ভব নয়'।
উল্লেখ্য, লুমেন ডাটাবেস হচ্ছে একটি স্বাধীন গবেষণা প্রোজেক্ট। যা টুইটারের পাবলিশ হওয়া টুইট বিষয়বস্তুর উপর বিচারবিবেচনা করে ধরে রাখার কাজ করে থাকে। এই বিষয়টি নিয়ে টুইটারের এক মুখপাত্রকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি জানান, আমাদের দেশের মেসেজ ধরে রাখার নীতি অনুসারে এভাবে সংশ্লিষ্ট কিছু মেসেজের আইনি বৈধতা খতিয়ে দেখা হয়। নির্দিষ্ট জায়গা ও সংশ্লিষ্ট বিচারব্যবস্থার ভিত্তিতেই বিষয়বস্তুর বৈধতা খতিয়ে দেখা হয়। অ্যাকাউন্ট হোল্ডারদের ইমেলের মাধ্যমে এক্ষেত্রে বার্তা পাঠানো হয়ে থাকে। এভাবেই গ্রাহক জানতে পারেন, তাঁর টুইটার অ্যাকাউন্টে আইনি নির্দেশ পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি, আইনি আবেদনের ভিত্তিতে টুইটার ৫০টি টুইটের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করে। দেশের নতুন তথ্যপ্রযুক্তি আইন মানতে না চাওয়ায় টু্ইটারের উপর থেকে আইনি রক্ষাকবচ প্রত্যাহার করে নিয়েছে ভারত। আর তারপর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ার বিষয়বস্তুর উপর কড়া আইনি নজরদারি শুরু করেছে ভারত।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন