

অনেক সময় বিভিন্ন অ্যাপ বা ওয়েব সাইট বেকার যুবক যুবতীদের কাজের টোপ দিয়ে আর্থিক প্রতারণা করে। এমনকি ঘরে বসে সহজ উপায়ের লোভ দেখিয়ে গৃহবধূদের ফাঁদে ফেলে। ওই ধরণের ১০০টি ওয়েব সাইট বন্ধ করেলো কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
অমিত শাহর দপ্তর জানিয়েছে, "এই ওয়েবসাইটগুলির প্রধান টার্গেট থাকে গৃহবধূ এবং বেকার যুবক যুবতীরা। ঘরে বসে উপার্জন করা থেকে, ঘন্টায় ১০০০ টাকা আয় করার মতো প্রথমে বিজ্ঞাপন দেয়। সেই ফাঁদেই পা দেন নাগরিকরা। বর্তমানে সোশ্যাল মিডিয়াকে হাতিয়ার করে এই প্রতারণার জাল বিস্তার করেছে প্রতারকরা। এখন ফেসবুকে টোপ দিয়ে বা টেলিগ্রামে বিভিন্ন মেসেজ পাঠিয়ে ওই ধরণের কাজের কথা বলে। লিঙ্কে ক্লিক করে সাধারণ মানুষ কাজ করতে শুরুও করে দেয়। পরে ধীরে ধীরে তাঁদের অ্যাকাউন্টে টাকা আসা বন্ধ হয়ে যায়"।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের তরফে আরও বলা হয়েছে, 'ইলেক্ট্রনিক্স এবং তথ্য প্রযুক্তি মন্ত্রকের পক্ষ থেকে তথ্য প্রযুক্তি আইন, ২০০০ অনুযায়ী ১০০টি ওয়েব সাইট ব্লক করা হয়েছে। এই ওয়েব সাইটগুলি সাধারণ মানুষদের টার্গেট করে। সাধারণত বিদেশ থেকে পরিচালিত হয়। প্রথম দিকে ঠিক ঠাক কাজ করলেও পরে গ্রাহকের ডেটা চুরি এবং ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে টাকাও তুলে নেয়'।
পাশাপাশি মন্ত্রক জানিয়েছে, এই ওয়েব সাইটগুলি বিপুল পরিমাণে আর্থিক প্রতারণার সাথেও যুক্ত থাকে। মূলত ক্রিপ্টোকারেন্সি, এটিমের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক লেনদেন যার আদর্শ উদাহরণ। ১৯৩০ হেল্পলাইন নম্বরে এবং NCRP মাধ্যমে এই সংক্রান্ত একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। নাগরিকদের তাই সর্বদা সতর্ক থাকা উচিত।
সাধারণ জনগণের উদ্দেশ্যে কেন্দ্রের বার্তা, "যদি কোনো অজ্ঞাত পরিচয়ের ব্যক্তি আপনার হোয়াটসঅ্যাপ অথবা টেলিগ্রামে আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত মেসেজ পাঠায় তাহলে প্রথমে যাচাই করুন। ওই ব্যক্তির ইউপিআই নম্বর এবং নাম ভেরিফাই করুন তারপর লেনদেন করুন"।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন