

প্রায় ১৪ বছর আগে, ২০০৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে লেম্যান ব্রাদার্সের পতন ঘটে। শুরু হয় বিশ্ব মন্দা। তবে, চলতি বছর প্রযুক্তি শিল্পে গণহারে কর্মী ছাঁটাইয়ের পর, ২০০৮-০৯ সালের সেই মহামন্দার স্তরকে ছাড়িয়ে গেছে।
মার্কিন কর্মী নিয়োগকারী সংস্থা - ‘চ্যালেঞ্জার, গ্রে অ্যান্ড ক্রিসমাস’ (Challenger Gray & Christmas)-র তথ্য অনুসারে, ২০০৮ সালে বিশ্বের বিভিন্ন প্রযুক্তি কোম্পানিতে প্রায় ৬৫,০০০ কর্মী ছাঁটাই হয়েছিল। এবং, ২০০৯ সালে একই সংখ্যক কর্মী তাদের জীবিকা (চাকরী) হারান।
সেই তুলনায়, চলতি বছর সারা বিশ্বের ৯৬৫টি প্রযুক্তি কোম্পানি ১৫০,০০০ (দেড় লক্ষ)-রও বেশি কর্মী ছাঁটাই করেছে। যা ২০০৮-০৯ সালের মহামন্দার মাত্রাকে ছাড়িয়ে গেছে।
আশঙ্কা করা হচ্ছে, চলমান মন্দার জেরে আগামী বছরেও (২০২৩ সালে) মেটা (Meta), আমাজন (Amazon), টুইটার (Twitter), মাইক্রোসফ্ট (Microsoft), সেলসফোর্স (Salesforce)-সহ একাধিক প্রযুক্তি কোম্পানিতে কর্মী ছাঁটাই করা হবে, এর ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে।
এক রিপোর্টে মার্কেটওয়াচ (MarketWatch) জানিয়েছে, ২০২৩ এবং তারপরে নিজেদের অস্তিত্ব রক্ষা করতে প্রযুক্তি সংস্থাগুলি যে কৌশলগুলি নেবে তার একটি হল – ‘ ছাঁটাই’ (layoffs)।
প্রযুক্তি শিল্পে ছাঁটাইয়ের একটি ক্রাউডসোর্স ডাটাবেস - layoffs.fyi-এর তথ্য অনুসারে জানা যাচ্ছে, মহামারী করোনার পর বিশ্বের ১,৪৯৫ টি প্রযুক্তি কোম্পানি ২,৪৬,২৬৭ জন কর্মীকে ছাঁটাই করেছে। এর মধ্যে বেশি ছাঁটাই হয়েছে ২০২২ সালে। তবে, ২০২৩ সালে এই পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
নভেম্বরের মাঝামাঝি মেটা (Meta), টুইটার (Twitter), সেলসফোর্স (Salesforce), নেটফ্লিক্স (Netflix), সিসকো (Cisco), রোকু (Roku), ইনটেল (Intel)-সহ একাধিক প্রযুক্তি সংস্থায় ৭৩,০০০-এরও বেশি কর্মী ছাঁটাই হয়েছে।
২০২৩ সালের শুরুতেই কর্মী ছাঁটাইয়ের পরিকল্পনা করেছে আমাজন (Amazon) এবং এইচপি ইনক (HP Ink)। সূত্রের খবর, আগামী মাসে (জানুয়ারিতে), কর্পোরেট এক্সিকিউটিভ সহ প্রায় ২০,০০০কর্মী ছাঁটাই করতে চলেছে বিশ্বের অন্যতম টেক জায়ান্ট আমাজন। এছাড়া, এইচপি ইনক-ও ৬,০০০ কর্মী ছাঁটাই করবে বলে জানা যাচ্ছে৷
শুধু তাই নয়, বিশ্বজুড়ে প্রায় ৪,০০০ কর্মী ছাঁটাই শুরু করেছে নেটওয়ার্কিং জায়ান্ট Cisco।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন