Sunita Williams: মহাকাশে দিনে ১৬ বার সূর্যদোয় ও সূর্যাস্তের সাক্ষী হচ্ছেন সুনীতা উইলিয়ামসরা!

People's Reporter: পৃথিবীতে সাধারণত মানুষ ১২ ঘন্টা আলো এবং ১২ ঘন্টা অন্ধকারের সাক্ষী থাকেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (ISS)-এ থাকা মহাকাশচারীরা ২৪ ঘন্টার বদলে ৯০ মিনিটে একটা দিন দেখছেন।
সুনীতা উইলিয়ামস
সুনীতা উইলিয়ামসছবি - সংগৃহীত
Published on

মহাকাশে প্রতিদিন ১৬ বার সূর্যদোয় ও সূর্যাস্তের সাক্ষী হচ্ছেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সঙ্গী ব্যারি বুচ উইলমোর। যদিও এই অভিজ্ঞতা তাঁর কাছে নতুন নয়।

পৃথিবীতে সাধারণত মানুষ ১২ ঘন্টা আলো এবং ১২ ঘন্টা অন্ধকারের সাক্ষী থাকেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন (ISS)-এ থাকা মহাকাশচারীরা ২৪ ঘন্টার বদলে ৯০ মিনিটে একটা দিন দেখছেন। যার ৪৫ মিনিট আলো এবং ৪৫ মিনিট আঁধার।

এই স্পেস স্টেশন আনুমানিক ঘন্টায় ১৭,৫০০মাইল ২৮,০০০ কিমি গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে। কক্ষপথটি প্রদক্ষিণ করতে স্পেশ স্টেশনের সময় লাগে ৯০ মিনিট। ফলে ১৬ বার করে সূর্যদোয় ও সূর্যাস্তের সাক্ষী হন মহাকাশচারীরা।

এই অভিজ্ঞতার সাথে অপরিচিত নন সুনীতা উইলিয়ামস। কারণ এর আগেও মহাকাশে গিয়েছেন তিনি। ২০১৩ সালে ভারতে এসে নিজের এই অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। তিনি জানিয়েছিলেন, 'আমি এই দৃশ্যের সাক্ষী হব বলে অনেক পরিশ্রম করেছি। স্পেস স্টেশনটি এত দ্রুত গতিতে পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করে যে ১৬ বার সূর্যদোয় ও সূর্যাস্ত দেখা যায়'।

উল্লেখ্য, গত ৫ জুন নাসার ক্যাপসুলে (বোয়িং স্টারলাইনার) করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সুনীতা ও বুচ। তাঁদের গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। আটদিনের মধ্যে কাজ শেষ করে পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ক্যাপসুলে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। মহাকাশযানটির থ্রাস্টার নামক এক বিশেষ যন্ত্র কাজ করছিল না। এছাড়া, হিলিয়াম গ্যাস লিক করছিল ওই স্টারলাইনার থেকে। এরপরেই নাসার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই ক্যাপসুলে করে ফেরানো হবে না দুই নভশ্চরকে।

নাসার পরিকল্পনা, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের যান পাঠানো হবে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। তার আগে পর্যন্ত মহাকাশে গবেষণার কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই দুই আমেরিকান মহাকাশচারী সুনীতা ও বুচ।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in