
মহাকাশে বসে লেটুস চাষ করছেন মহাকাশচারী সুনীতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছে আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসা। যদিও সেটা খাওয়ার জন্য নয় বলেই জানিয়েছে নাসা।
পাঁচ মাসেরও বেশী সময় ধরে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে রয়েছেন মহাকাশচারী সুনিতা উইলিয়ামস এবং তাঁর সহযাত্রী বুচ উইলমোর। নাসা জানিয়েছে, সেখানেই লেটুস চাষ করছেন তাঁরা। তবে সেটা খাওয়ার জন্য নয়, গবেষণার স্বার্থেই। এই গবেষণার মূল লক্ষ্য হল, গাছকে কতটা জল দেওয়া হচ্ছে, তার উপর নির্ভর করে কী ভাবে উদ্ভিদের বৃদ্ধি ও পুষ্টি প্রভাবিত হয়, সেটাই দেখা।
নাসা সূত্রে জানা গিয়েছে, মহাকাশে যাওয়ার সময়েই এই সংক্রান্ত পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়েছিলেন তাঁরা। লেটুস গাছগুলো মহাকাশে বসানোর আগে, গাছের পরিচর্যায় ব্যবহার্য জলের নমুনাও পরীক্ষা করা হয়েছে। নাসা জানাচ্ছে, এই গবেষণা সফল হলে ভবিষ্যতে মহাকাশ অভিযানগুলোর ক্ষেত্রে মিটবে খাবারের সমস্যা। পাশাপাশি, মহাকাশের মতো প্রতিকূল পরিবেশে নিয়ন্ত্রিত পরিমাণ জলে ফসল ফলানো গেলে পৃথিবীর খরাপ্রবণ অঞ্চলগুলোতেও সহজে ফসল ফলানোর রাস্তা মিলতে পারে। এই গবেষণায় কৃষিক্ষেত্রে সাহায্য মিলবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। নাসা জানাচ্ছে, মহাকাশের মাইক্রোগ্র্যাভিটির মধ্যেও বাড়ছে লেটুস গাছ।
উল্লেখ্য, গত ৫ জুন নাসার ক্যাপসুলে (বোয়িং স্টারলাইনার) করে মহাকাশের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেছিলেন সুনীতা ও বুচ। তাঁদের গন্তব্য ছিল আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশন। আটদিনের মধ্যে কাজ শেষ করে পৃথিবীতে ফেরার কথা ছিল তাঁদের। কিন্তু ক্যাপসুলে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয়। মহাকাশযানটির থ্রাস্টার নামক এক বিশেষ যন্ত্র কাজ করছিল না। এছাড়া, হিলিয়াম গ্যাস লিক করছিল ওই স্টারলাইনার থেকে। এরপরেই নাসার পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ওই ক্যাপসুলে করে ফেরানো হবে না দুই নভশ্চরকে।
নাসার পরিকল্পনা, আগামী বছর ফেব্রুয়ারিতে ইলন মাস্কের সংস্থা স্পেস এক্সের যান পাঠানো হবে সুনীতাদের পৃথিবীতে ফিরিয়ে আনার জন্য। তার আগে পর্যন্ত মহাকাশে গবেষণার কাজ আরও এগিয়ে নিয়ে যাবেন এই দুই আমেরিকান মহাকাশচারী।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন