Pegasus: বন্ধ হতে চলেছে ইজরায়েলের নজরদারি সফটওয়্যার, ঋণের দায়ে বিক্রি হচ্ছে NSO গ্রুপ

রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে হাতিয়ার করা হয়েছে পেগাসাসকে। অভিযোগ ওঠে সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের সরকারকে তথ্য দিয়েছে।
ছবি- প্রতীকী
ছবি- প্রতীকীসংগৃহীত
Published on

শেষ পর্যন্ত বন্ধ হতে বসেছে পেগাসাস স্পাইওয়ার। কারণ ঋণ নিয়েও শোধ করতে না পারায় ঋণখেলাপির তকমা জুটেছে সংস্থার। এনএসও গ্রুপ লিমিটেডের অর্থনৈতিক অবস্থা বিশেষ ভালো নয়। তাই এই স্পাইওয়ার বিক্রি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

সূত্রের খবর, বেশ কয়েকটি ইনভেস্টর কোম্পানির সঙ্গে এই বিক্রির ব্যাপারে কথা হয়েছে। বিক্রি সম্পন্ন হলে আর্থিকভাবে লাভবান হবে বলে আশা করা হচ্ছে। গোপন সূত্রে খবর, মোএলস অ্যান্ড কো এটি কিনতে চলেছে। আর এই ব্যাপারে বিশদে বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলোচনা করছে সংস্থা।

দুটি আমেরিকান সংস্থা এই স্পাইওয়্যার কেনার ব্যাপারে একেবারে শীর্ষে রয়েছে। তারা পেগাসাস সফটওয়্যার ও সাইবার সুরক্ষিত করতে এবং ইজরায়েলি কোম্পানির ড্রোন প্রযুক্তির উন্নয়নের ২০০ মিলিয়ন বিনিয়োগের বিষয়ে আলোচনা করছে। তবে এনএসএও'র মুখপাত্র এবিষয়ে কোনও কথা বলতে চায়নি।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ভারতের বিশিষ্টজনদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছিল। এরকম অভিযোগে চলতি বছরের মাঝামাঝি সময়ে বিতর্কের ঢেউ বয়ে যায় গোটা দেশে। অভিযোগ ওঠে সংস্থাটি বিভিন্ন দেশের সরকারকে তথ্য দিয়েছে। রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ, সাংবাদিক, মানবাধিকার কর্মীদের উপর গুপ্তচরবৃত্তি করতে হাতিয়ার করা হয়েছে পেগাসাসকে।

শুধু ভারত নয়, মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের ১১ জন কর্মকর্তার ফোন হ্যাক করার অভিযোগ ওঠে। সংস্থাটিকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়। আইফোন হ্যাক হয়েছে বলে অভিযোগ এনে মামলাও দায়ের হয়েছিল। এদিকে, এদেশে শীর্ষ আদালতের নজরদারিতে নিরপেক্ষ কমিটি দিয়ে পেগাসাস কাণ্ডের তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। এই নির্দেশ দেওয়ার সময় কেন্দ্রের সমালোচনা করেন প্রধান বিচারপতি।

তাঁর কথায়, সাংবিধানিক রক্ষাকবচের অজুহাতে ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করা যায় না। সংবাদমাধ্যমের স্বাধীনতাও খর্ব করা যায় না। কেন্দ্রের জাতীয় নিরাপত্তার অজুহাত শীর্ষ আদালত সমর্থন করে না।

ছবি- প্রতীকী
Pegasus: ইজরায়েলী রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন সরকার পেগেসাস কিনেছিলো - পি চিদাম্বরম

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in