Lay Off: জাপানি টিভি প্রস্তুতকারক সংস্থা Toshiba থেকে ৪০০০ কর্মী ছাঁটাই!

People's Reporter: ছাঁটাই ছাড়াও তোশিবা তাদের সদর দপ্তর মধ্য টোকিও থেকে সরিয়ে কাওয়াসাকিতে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছে। সংস্থার পরিচালন পর্ষদের দাবি, এর ফলে আগামী ৩ বছরের মধ্যে লাভের মুখ দেখবে তোশিবা।
তোশিবা সংস্থা
তোশিবা সংস্থা ফাইল ছবি, সংগৃহীত
Published on

এবার ছাঁটাইয়ের কোপ জাপানের বিখ্যাত তোশিবা সংস্থায়। বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে ৪০০০ কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা জানিয়েছে তোশিবা সংস্থা। সংবাদসংস্থা রয়টার্স-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, সংস্থার নতুন মালিক গোষ্ঠী তোশিবাকে ঢেলে সাজানোর জন্য এই কর্মী ছাঁটাইয়ের পথে হাঁটতে চলেছে।

কর্মী ছাঁটাই ছাড়াও তোশিবা সংস্থা তাদের সদর দপ্তর মধ্য টোকিও থেকে সরিয়ে কাওয়াসাকিতে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছে। সংস্থার পরিচালন পর্ষদের দাবি, এর ফলে আগামী ৩ বছরের মধ্যে লাভের মুখ দেখবে তোশিবা। এই কর্মী ছাঁটাইয়ের ফলে জাপানের তোশিবার মোট কর্মী বাহিনীর ৬ শতাংশ প্রভাবিত হবে।

তোশিবা আগামী ৩ বছরে লাভের অঙ্ক কমপক্ষে ১০ শতাংশে নিয়ে যাবার পরিকল্পনা করেছে। এই পরিকল্পনা সফল হলে আর্থিকভাবে তোশিবা আরও শক্তিশালী জায়গায় পৌঁছে যাবে বলে জানিয়েছে সংস্থার পরিচালন পর্ষদ।

প্রসঙ্গত, জাপানে সম্প্রতি বহু সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাই চলছে। সেই ধারা বজায় রেখেই তোশিবাতেও ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে। তোশিবা ছাড়াও সম্প্রতি, কোণিকা মিনোল্টা থেকেও কর্মী ছাঁটাইয়ের কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

অর্থনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে জাপানে সমস্ত ব্যবসায়ী সংস্থাই প্রবল আর্থিক সমস্যার মধ্যে দিয়ে চলছে এবং এই পরিস্থিতির মোকাবিলায় বিভিন্ন সংস্থা থেকে কর্মী ছাঁটাই করা হচ্ছে।

গত বছরের ডিসেম্বরে, তোশিবাকে শেয়ার বাজার থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। কারণ জাপান ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্টনারস (JIP) নামক এক বেসরকারি বিনিয়োগ সংস্থার নেতৃত্বে একটি গোষ্ঠী $১৩ বিলিয়ন ডলারে তোশিবাকে কিনে নেয়। এর আগে বিগত ১০ বছরে একাধিক সমস্যার মধ্যে গিয়ে গেছে তোশিবা। যার মধ্যে বিভিন্ন আর্থিক কেলেঙ্কারি এবং আর্থিক সমস্যাও আছে।

তোশিবা সংস্থা
CPIM Digital: "এ লড়াই জিততে হবে!" - AI প্রযুক্তির মাধ্যমে নির্বাচনী ময়দানে হাজির বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য
তোশিবা সংস্থা
Lay Off: ঝড়ের গতিতে ছাঁটাই - ২০২৪-এর প্রথম ৪ মাসে বিশ্বজুড়ে কর্মহীন ৮০ হাজার তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in