

বিশ্ব জুড়ে বাড়ছে তাপমাত্রা, বেলাগামভাবে চড়ছে পারদের সূচক। বিজ্ঞানীদের মতে, বিশ্ব উষ্ণায়নের এক অন্য মাত্রায় পৌঁছে গিয়েছে পৃথিবীর জলবায়ু। যার ফলে গোটা পৃথিবীর গড় তাপমাত্রায় অস্বাভাবিক চড়াই দেখা গিয়েছে। এমনকি চলতি জুলাই মাসের এখনও কয়েকদিন বাকি থাকা সত্ত্বেও বিশেষজ্ঞরা জানিয়ে দিয়েছেন, এই জুলাই মাস উষ্ণতার সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। গত কয়েক শতক এমনকি মানব সভ্যতার ইতিহাসে চলতি জুলাই মাস ইতিমধ্যেই উষ্ণতম মাস হিসেবে ধরা দিয়েছে।
শেষবার ২০১৯ সালের জুলাই মাসকে উষ্ণতম মাস হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল। কিন্তু বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, চলতি জুলাই মাস সেই ২০১৯ সালের রেকর্ডও খুব সহজেই ভেঙে দিয়েছে। কিছু গবেষকদের এমনও ধারণা, এই জুলাই হয়তো গত ১ লক্ষ বছরের মধ্যে সবচেয়ে উষ্ণতম মাস।
এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে বিশ্বের সমস্ত দেশের সর্বস্তরের গবেষক ও পরিবেশবিদদের কপালে। এই প্রসঙ্গে জাতিসঙ্ঘের প্রধান অ্যান্টনিও গুতেরেস জানিয়েছেন, “আমাদের গ্রহটি ধীরে ধীরে 'Global Boiling' যুগের দিকে এগোচ্ছে।”
বিশ্ব জুড়ে এই নজিরবিহীন তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে মুখ খুলেছেন আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনও। পৃথিবীর জলবায়ুর এই দ্রুত পরিবর্তনকে তিনি ‘অস্তিত্বগত হুমকি’ বলে দাবি করেছেন। পাশাপাশি এও জানিয়েছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের এই মারাত্মক প্রভাবকে আর কেউ অগ্রাহ্য করতে পারবে না।
বিজ্ঞানীদের মতে পৃথিবীর তাপমাত্রায় এই অস্বাভাবিক বৃদ্ধির জন্য দায়ী জীবাশ্ম জ্বালানির অত্যাধিক ব্যবহার। তবে এই তাপমাত্রা বৃদ্ধি নিয়ে বিজ্ঞানীমহল খুব একটা আশ্চর্য হয়নি। কারণ তাঁরা জানিয়েছে, এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা কিছুই নয়। কারণ আসন্ন সপ্তাহগুলিতে বিশ্ব জুড়ে তাপমাত্রা আরও বাড়তে পারে।
লেইপজিগ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ কার্স্টেন হস্টেইন জানিয়েছেন, "অন্যান্য বছরগুলির জুলাই মাসের তুলনায় চলতি জুলাই মাসের তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ১.৩ থেকে ১.৭ কুলম্ব বেশি। আর এই অতিরিক্ত তাপমাত্রা বৃদ্ধির প্রধান কারণ জীবাশ্ম জ্বালানির যথেচ্ছ ব্যবহার। "
তিনি আরও বলেন, "শেষ কয়েকদিন তাপমাত্রা একটু হ্রাস পেলেও এই জুলাই মাসকে অনায়াসে উষ্ণতম জুলাই মাস হিসেবে চিহ্নিত করা যায়। এমনকি শুধু জুলাই নয়, চলতি মাসটি ইতিহাসের সবচেয়ে উষ্ণতম মাস বললেও আশা করি ভুল হবে না। কারণ, এইরকম উষ্ণ মাস খুঁজতে হলে হয়তো আমাদের কয়েকহাজার বছর পিছিয়ে যেতে হবে।"
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন