মস্কোর সাহায্য ছাড়া আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে কাজ চালানো সম্ভব নয় - NASA

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সংক্রান্ত কাজে যুদ্ধের প্রভাব পড়বে না। রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের সঙ্গে সমস্ত কাজ চলবে। বিবৃতি দিয়ে ঘোষণা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন
আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনফাইল চিত্র

ইউক্রেন-রাশিয়ার সংঘাতের জেরে ইতিমধ্যে বিভিন্ন মার্কিন সংস্থা রাশিয়ায় তাদের ব্যবসা গুটিয়ে নিয়েছে। আমেরিকা-সহ বেশ কয়েকটি দেশ রাশিয়ার ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। ইউক্রেন রাষ্ট্রপতি ভোলোদিমির সমঝোতার পথে হাঁটার সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মস্কোর সঙ্গে কয়েকবার বৈঠকও হয়েছে। যদিও যুদ্ধের তীব্রতা কমেনি। উল্টে বেড়েছে।

এই পরিস্থিতিতে বেশ বেকায়দায় পড়েছে নাসা (NASA)। রুশ মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের সহযোগিতায় আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন সংক্রান্ত কাজে এই যুদ্ধের প্রভাব পড়বে না। সোমবার বিবৃতি দিয়ে এমনটাই ঘোষণা করেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা।
সোমবার নাসা জানিয়েছে, এই যুদ্ধময় পরিস্থিতিতেও রাশিয়ার মহাকাশ সংস্থা রসকসমসের সঙ্গে কাজ চলবে।

এই মাসের শেষে আইএসএস (ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশন) থেকে রুশ মহাকাশযানে পূর্বনির্ধারিত পরিকল্পনা অনুযায়ী এক মার্কিন নভশ্চর পৃথিবীতে ফিরে আসবেন। প্রযুক্তি সংক্রান্ত রফতানিতে কোনও নিষেধাজ্ঞা অসামরিক মহাকাশ গবেষণার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলবে না। কক্ষপথ ও গ্রাউন্ড স্টেশনগুলিতে আগের মতোই কাজ চলছে, চলবে। ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখেই রাশিয়া-সহ সব সহযোগী দেশগুলির সঙ্গে কাজ চালিয়ে যাবে নাসা।

উল্লেখ্য, কয়েকদিন আগে রাশিয়া এব্যাপারে নিজেদের আশঙ্কা জানিয়েছিল, মার্কিন নিষেধাজ্ঞার প্রভাব পড়তে পারে ইন্টারন্যাশনাল স্পেস স্টেশনে। সম্প্রতি রুশ মহাকাশ গবেষণা সংস্থা রসকসমসের প্রধান দিমিত্রিয় রোগোজিন জানান, আর্থিক নিষেধাজ্ঞা রাশিয়ার মহাকাশ গবেষণায় প্রভাব ফেলবে। মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের রক্ষণাবেক্ষণে প্রভাবের জেরে রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে যে কোনও সময় স্পেস স্টেশনের একাংশ ভেঙে যেতে পারে।

তাই তিনি হুঁশিয়ারি দেন যে, রাশিয়ার উপর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা চাপানোর আগে পশ্চিমী দেশগুলির ভাবা উচিত। স্পেস স্টেশনে রাশিয়ার অংশ এই গবেষণাগারের কক্ষপথ ঠিক রাখার কাজ করে। মস্কোর সাহায্য ছাড়া কাজ চালানো সম্ভব নয় বলে জানিয়ে দিল নাসা।

আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন
Ukraine Crisis: গোটা খেরসন প্রদেশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে, কিয়েভের পতন কী শুধু সময়ের অপেক্ষামাত্র!

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in