

আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-র বিষয়ে অন্যান্য দেশের সঙ্গে আবার সহযোগিতা বন্ধ করার হুমকি দিয়েছে রাশিয়া। রাশিয়ান মহাকাশ সংস্থা রসকসমস-র ( রাশিয়ান স্পেস এজেন্সি) প্রধান দিমিত্রি রোগজিন টুইটারে পোস্ট করেছেন যে, আইএসএস এবং অন্যান্য প্রকল্পগুলিতে “অংশীদারদের মধ্যে স্বাভাবিক সম্পর্ক পুনরুদ্ধার” কেবলমাত্র “অবৈধ নিষেধাজ্ঞাগুলি সম্পূর্ণ এবং নিঃশর্ত প্রত্যাহারের” মাধ্যমেই সম্ভব।
ট্যুইট করে তিনি লেখেন - “আমাদের অংশীদারদের অবস্থান পরিষ্কার - নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রত্যাহার করা হবে না। নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হ'ল রাশিয়ান অর্থনীতিকে হত্যা করা, আমাদের জনগণকে হতাশা ও ক্ষুধায় নিমজ্জিত করা এবং আমাদের দেশকে নতজানু করে দেওয়া। ISS এর সাথে রাশিয়া সমস্ত সম্পর্ক বন্ধ করতে শীঘ্রই একটি তারিখ নির্ধারণ করবে Roscosmos.”
ট্যুইট রোগজিন আরও বলেছেন - তিনি নাসা, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থা এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির কাছে চিঠিতে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদন করেছেন। “নাসার প্রধান, সেনেটর (বিল) নেলসন, ইউরোপীয় মহাকাশ সংস্থার প্রধান, জোসেফ অ্যাশবাচার এবং কানাডিয়ান স্পেস এজেন্সির (সিএসএ) প্রধান লিসা ক্যাম্পবেল, তাদের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার আবেদনে সাড়া দিয়েছেন।”
এর প্রতিক্রিয়ায়, NASA কর্তা নেলসন বলেছেন যে “মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে সবরকম সহযোগিতার পক্ষে। বিশেষ করে রাশিয়া, কানাডা, ইউরোপ এবং জাপান সহ আইএসএস (ISS) পরিচালনার সাথে যুক্ত দেশগুলির সঙ্গে আগামীদিনেও কাজ করতে চায়।”
CSA (কানাডার স্পেস এজেন্সি) রোগজিনের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সাড়া দিয়ে বলেন যে – “আমি আপনাকে আশ্বস্ত করতে পারি যে কানাডা আইএসএস প্রোগ্রামকে সমর্থন করে । নিরাপদ এবং সফল অপারেশনগুলির জন্য সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত।” ESA প্রধান জোসেফ অ্যাশবাচার উত্তর দিয়েছেন যে, তিনি রোগজিনের অনুরোধটি মূল্যায়নের জন্য সংস্থার সদস্য রাষ্ট্রগুলির কাছে আবেদন করবেন।
প্রসঙ্গত, নাসা গত সপ্তাহে বলেছে যে মার্কিন মহাকাশ সংস্থা এবং রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় মহাকাশ কর্পোরেশন গত তিন দশক ধরে আইএসএস-এ দুটি বৃহত্তম অংশীদার। দুটি সংস্থা ২০২৪ সালের পর্যন্ত আইএসএস-এ একসাথে কাজ করতে সম্মত হয়েছে।
অন্যদিকে ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১-এ, বিডেন প্রশাসন ২০৩০ সাল পর্যন্ত আইএসএস-এ কাজ চালানোর জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। রাশিয়া এখনওপর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে ২০৩০ সাল পর্যন্ত সহযোগিতা করতে রাজি হয়নি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
