

সোশ্যাল মিডিয়া ফেসবুক (Facebook) এবং ইনস্টাগ্রাম (Instagram)-এ প্রতিদিনই পাল্লা দিয়ে বাড়ছে গ্রাহকের সংখ্যা। আর সেখানে পোস্ট হওয়া বিষয়বস্তু থেকে ঘৃণা এবং হিংসা ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনাও বেড়ে চলেছে। শুক্রবার একটি রিপোর্ট পেশ করেছে সোশ্যাল মিডিয়া সংস্থা মেটা (Meta Platforms Inc.)। তাতে দেখা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসে ফেসবুকে ঘৃণাসূচক বক্তব্য বেড়েছে ৩৮ শতাংশ। আর, ইনস্টাগ্রামে হিংসামূলক পোস্ট বেড়েছে ৮৬ শতাংশ। যা খুবই উদ্বেগের।
৩১ মে, এক রিপোর্টে মেটা জানিয়েছে, এপ্রিল মাসে ফেসবুকে প্রায় ৫৩ হাজার ২০০ টি পোস্ট ঘৃণাসূচক বিষয় বা বক্তব্য পাওয়া গেছে। মার্চ মাসে এই সংখ্যাটি ছিল ৩৮ হাজার ৬০০ টি। অর্থাৎ, এক মাসের ব্যবধানে ফেসবুকে ঘৃণাসূচক (Hate Speech) পোস্ট বৃদ্ধি পেয়েছে ৩৭.৮২ শতাংশ।
তবে, শুধু ফেসবুক নয়, জনপ্রিয় ইনস্ট্রাগ্রাম (Instagram)-এ এই প্রবণতাও বৃদ্ধি পেয়েছে। রিপোর্টে জানা যাচ্ছে, এপ্রিল মাসে ৭৭ হাজার হিংসা এবং উস্কানি মূলক বিষয়বস্তু পোস্ট করা হয়েছিল। যেখানে মার্চ মাসে এই সংখ্যা ছিল ৪১ হাজার ৩০০ টি।
কিভাবে এই বিষয়গুলি শনাক্ত করা হয়েছে? মেটার তরফে জানানো হয়েছে, ‘প্রথমে আমরা কন্টেন্ট (যেমন পোস্ট, ফটো, ভিডিও বা মন্তব্য)-এর সংখ্যা পরিমাপ করি। তারপর যে সকল কন্টেন্ট আমাদের সংস্থার মানদণ্ডের বিরুদ্ধে গেছে, সেগুলির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘ব্যবস্থামূলক পদক্ষেপ হিসাবে ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম থেকে কিছু বিষয়বস্তু মুছে ফেলা হয়েছে। শ্রোতাদের অস্বস্তিতে ফেলতে পারে এমন ছবি বা ভিডিও’র ক্ষেত্রে সেগুলি সতর্কতাসহ কভার করা হয়েছে।’
আগেও অন্য একটি রিপোর্টে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের জন্য কিছু অনলাইন ঝুঁকি রয়ে গেছে বলে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছিল। বিশেষ করে ঘৃণাসূচক পোস্টের ক্ষেত্রে।
কয়েক বছর আগে মাইক্রোসফ্ট (Microsoft) একটি রিপোর্ট প্রকাশ করেছিল। সেখানে উল্লেখ করা হয়, ২০১৬ সাল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘৃণাসূচক পোস্ট ২৬ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। ২০১৭ সালে অনলাইনে প্রতারণা, কেলেঙ্কারী এবং জালিয়াতির পরিমাণ ৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২২ শতাংশে পৌঁছায়।
যত দিন যাচ্ছে, অনলাইন ব্যবহারকারীদের ঝুঁকি ক্রমগত বাড়ছে। ২০ শতাংশ ভারতীয় অনলাইন ব্যবহারকারী জানিয়েছেন, গত এক সপ্তাহে তারা অনলাইন ঝুঁকির সম্মুখীন হয়েছেন।
Inputs from NewsClick
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন