Cyber Crime: সাইবার ক্রাইম রুখতে তৎপর কোয়াড! অন্তর্ভুক্ত দেশগুলির একে অন্যকে সাহায্যের বার্তা

ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও আমেরিকার বিদেশমন্ত্রীরা সাইবার ক্রাইম নিয়ে আলোচনা করেন। তাঁদের এই আলোচনা হয় মূলত রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মাঝে। সকলের সম্মতিক্রমে একটি বিবৃতি জারি করা হয়।
সাইবার ক্রাইম রুখতে তৎপর কোয়াড
সাইবার ক্রাইম রুখতে তৎপর কোয়াডগ্রাফিক্স - সুমিত্রা নন্দন
Published on

বিশ্বে বেড়েই চলেছে সাইবার ক্রাইমের সংখ্যা। সেই অপরাধ দমন করার জন্য উদ্যোগী হল কোয়াড অন্তর্ভুক্ত দেশগুলি। ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া ও আমেরিকার নেতৃত্বে কল টু অ্যাকশন প্রকল্প গ্রহণ করা হল।

পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই কমবেশী সাইবার ক্রাইম প্রতিনিয়ত ঘটেই চলেছে। কখনও কখনও এই অপরাধের ফলে রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়। একাধিক গোপন নথি অপরাধীরা সেকেন্ডের মধ্যে চুরি করে নিতে পারে। সাইবার ক্রাইম যাতে আর না বেশি মাথা চাড়া দিতে পারে তার জন্য এগিয়ে এল কোয়াড।

এক সর্বভারতীয় সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, জাপান ও আমেরিকার বিদেশমন্ত্রীরা সাইবার ক্রাইম নিয়ে আলোচনা করেছেন। তাঁদের এই আলোচনা হয় রাষ্ট্রসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের মাঝে। এই বৈঠকের পর সকলের সম্মতিক্রমে এক বিবৃতি জারি করা হয়। তাঁরা জানিয়েছেন সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য ওই চার দেশ একে অন্যকে সাহায্য করবে।

তাঁরা এও বলেছেন, এই অপরাধের বিরুদ্ধে একযোগে কাজ করলে তাতে বেশি প্রভাব পড়বে। খুব দ্রুত সাইবার হানা থেকেও রক্ষা পাওয়া যেতে পারে। বিভিন্ন ম্যালওয়ারের বিরুদ্ধে এই বিশেষ অভিযান চলতে থাকবে। কল টু অ্যাকশন নামেই প্রকল্পটি শুরু করা হবে।

উল্লেখ্য, কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়ালগ যা কোয়াড নামে পরিচিত। এটি ২০০৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। জাপানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং, আমেরিকার উপরাষ্ট্রপতি ডিক চেনি এবং অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী জন হাওয়ার্ড-র নেতৃত্বে কোয়াড গঠিত হয়। কিন্তু পরবর্তীকালে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক কারণে কোয়াড নিজের কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে। ২০১৭ সালে তা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়। এর মূল কাজ হল চারটি দেশের নিরাপত্তা বিষয়ক পর্যালোচনা, বিভিন্ন তথ্য আদান প্রদান ও সামরিক মহড়ার মাধ্যমে পারস্পরিক সম্পর্ক বজায় রাখা।

সাইবার ক্রাইম রুখতে তৎপর কোয়াড
উত্তর-পূর্ব ভারতে কর্মরত AIS অফিসারদের 'বিশেষ ভাতা-ইনসেন্টিভ' আর নয় - সিদ্ধান্ত মোদী সরকারের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in