

মঙ্গল গ্রহের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরী করার দাবি জানাল চীন। চীনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন জানিয়েছে, মঙ্গল গ্রহে চীন যে মহাকাশযানটি পাঠিয়েছে সেটি মঙ্গলকে পূর্বনির্দিষ্ট কক্ষপথে ১৩০০ বার প্রদক্ষিণ করে ওই নিখুঁত মানচিত্র তৈরী করেছে।
চীনের এই মহাকাশযানটির নাম 'তিয়ানওয়েন-১'। ২০২০ সালের জুলাই মাসে চীনের মহাকাশ বিজ্ঞানীদের তৈরী এই মহাকাশযান 'তিয়ানওয়েন-১' পৃথিবী থেকে প্রায় ১০ কিলোমিটার দূরে পাড়ি দিয়েছিল মঙ্গলের উদ্দেশ্যে। মহাকাশ যাত্রা শুরু হয়েছিল চীনের দক্ষিণ উপকূলের হায়নান দ্বীপ থেকে 'লং মার্চ-৫' রকেটে চেপে।
মহাকাশ যাত্রা শুরুর সাত মাস পর ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের শেষের দিকে 'তিয়ানওয়েন-১' মঙ্গল গ্রহের কক্ষপথে পৌঁছায়। এরপরে মহাকাশযান 'তিয়ানওয়েন-১' থেকে একটি ল্যান্ডার এবং একটি রোভার মঙ্গলগ্রহের ইউটোপিয়া অঞ্চলে অবতরণ করেছিল।
মঙ্গল গ্রহের মাটি-পাথর-বরফ ইত্যাদির বিভিন্ন নমুনা সংগ্রহ করার পর বারবার ওই গ্রহকে প্রদক্ষিণ করে বিভিন্ন ধরণের ছবিও তোলা হয়েছিল। ওই ছবিগুলির মধ্যে ছিল ভ্যালেস মেরিনারিসের ৪০০০ কিলোমিটার দীর্ঘ গিরিখাত, মঙ্গল গ্রহের উত্তরদিকে 'আরব টেরা' নামে পরিচিত একটি উচ্চভূমির নানারকম অসমতল প্রান্তর এবং গহ্বর। এছাড়াও রয়েছে দুর্গম দক্ষিণ মেরু অঞ্চল ও মৃত আগ্নেয়গিরি অ্যাসক্রেয়াস মোনসের উচ্চ রেজোলিউশন বিশিষ্ট চিত্র। এই সবকিছুর সাহায্যেই মঙ্গলের প্রথম পূর্ণাঙ্গ ত্রিমাত্রিক মানচিত্র তৈরি করতে সফল হয়েছে চীন।
উল্লেখ্য, চীনের তুলনায় অনেক পরের দিকে মহাকাশ অভিযান শুরু করেছে ভারত, আমেরিকা, রাশিয়া, জাপান এবং ইউরোপ। কিন্তু তাদের কিছুটা চমকে দিয়েই ২০০৩ সালে চীন মহাকাশযান পাঠিয়েছিল। এরপর ২০২২ সালে চীন পৃথিবীর কক্ষপথে গড়ে তুলতে চলেছে তাদের স্পেস স্টেশন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
