

চলতি বছরেই আরও একটি মহাকাশ স্টেশন হতে চলেছে। কাজ সম্পূর্ণ হলে এটি হবে পৃথিবীর কক্ষপথে দ্বিতীয় মহাকাশ স্টেশন। বানাতে চলেছে চীন। নাম দেওয়া হয়েছে তিয়াংগং মহাকাশ স্টেশন। কতটা উপরে তৈরি হচ্ছে এই নতুন স্টেশনটি?
ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রায় ৪০০ কিলোমিটার উপরে হবে। পৃথিবীর কক্ষপথে আগেই অবশ্য আরও একটি মহাকাশ স্টেশন ছিল। সেটি একটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ। বহু দেশের সহযোগিতায় বানানো হয় সেটি। কিন্তু এই মহাকাশ স্টেশনটি তা নয়। এটি চীন বানাচ্ছে সম্পূর্ণ নিজেরাই। চীনের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা চায়না ন্যাশনাল স্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন বৃহস্পতিবার এমনই জানিয়েছে।
কী কী থাকবে স্টেশনে? জানানো হয়েছে, চীনা মহাকাশ স্টেশনে থাকবে তিনটি মডিউল বা অংশ। এ বছরেই ধাপে ধাপে ছ’টি অভিযান চালানো হবে। মহাকাশ স্টেশনটিকে পূর্ণাঙ্গ রূপ দিতে পাঠানো হবে কক্ষপথে। তিনটি মডিউলের মধ্যে একটিতে হবে গবেষণা। তাতে চলবে নানা ধরনের পরীক্ষানিরীক্ষা। এই মডিউলের নাম— ‘ওয়েনতিয়ান’।
কীভাবে মহাকাশ স্টেশনটি কাজ করবে, তার একটা নীলনকশা সংস্থার পক্ষ থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। তা থেকে জানা যাচ্ছে, ইংরেজি ‘টি’ বর্ণের মতো দেখতে হবে চীনা মহাকাশ স্টেশনটি। সবক’টি মডিউলই পৃথিবীর কক্ষপথে পাঠানো হবে অত্যন্ত শক্তিশালী ‘লং মার্চ-৫বি’ রকেটে। তিনটি মডিউলের মধ্যে দু’টির ওজন ২০ হাজার কিলোগ্রাম বা ৪৪ হাজার ১০০ পাউন্ড করে হবে।
তবে এমন নয় যে, শুধুমাত্র চীনের বিজ্ঞানীরা এই স্টেশনে কাজ করবেন। এই মহাকাশ স্টেশনেও অন্য দেশের বিজ্ঞানী, গবেষকরা কাজ করতে পারবেন। এরপর চীনের পরবর্তী লক্ষ্য, চাঁদের কক্ষপথে একটি ‘লুনার স্টেশন’ বানানো। বেজিং জানিয়েছে, এবছরে ১৪০টি মহাকাশযান উৎক্ষেপণ করা হবে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন